অভিনেতা হৃতিক রোশন এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সুজান খান তাঁদের বিয়ের ১৩ বছর পর ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হন। বর্তমানে হৃতিক সম্পর্কে আছেন সাবা আজাদের সঙ্গে। আর সুজনের সঙ্গে প্রেম আরসালান গোনি। ডিভোর্সের পরও একে-অপরের কাছের বন্ধু হৃতিক-সুজন। নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে একসঙ্গে পার্টি করতেও দেখা যায় তাঁদের। অর্থাৎ সুজন-আরসালান ও হৃতিক-সাবা, চারজনে থাকেন একই জায়গাতে। সঙ্গে থাকে হৃতিক-সুজনের দুই ছেলেও।
তবে হঠাৎই হৃতিকের বোন সুনয়না রোশন মুখ খুললেন দাদা-বউদির ডিভোর্স, বাবা রাকেশ রোশনের ক্যানসারে আক্রাণ্ত হওয়া নিয়ে। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমরা যোদ্ধা। আমরা একে অপরকে আমাদের নিজস্ব উপায়ে শক্তি দিই। আমি, আমার মা-বাবা এবং আমার ভাইয়ের কাছ থেকে শক্তি পেয়েছি। এবং এটিই আমাতে সাহায্য করে, সমস্ত ওঠাপড়ার পরেও বেঁচে থাকতে। আমাকে বিশ্বাস করায় যে, জীবন এখনও সুন্দর, এবং আমি বাঁচতে চাই।’
হৃতিক এবং সুজানের বিবাহবিচ্ছেদের পিছনে কারণ এখনও অজানা। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুটি পুত্র রয়েছে - হৃহান, যার জন্ম ২০০৬ সালে এবং হৃদান, যিনি ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রায়ই পার্টি ও পারিবারিক জমায়েতে তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়।
চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকেশ রোশন ২০১৮ সালে গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, মানসিক জোর তাঁকে ক্যান্সার-মুক্ত হতে সাহায্য করেছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘সিগারেট আমার কাছে বাইগোন হয়ে গেছে, তবে আমি এখনও প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় দুই পেগ খাই। এটা অনুমোদিত নয় তবে আমি মানসিকভাবে ফিট বোধ করছি - এবং এটিই গুরুত্বপূর্ণ তাই না? আমার সর্বশেষ পিইটি স্ক্যান বলছে, আমি ভালো আছি ... আমি তখন পরীক্ষা করতে যাওয়ার আগেই আমি জানতাম যে আমার ক্যান্সার হয়েছে ... আমি জানি না কেন, তবে আমার মন বলছিল যে এই জাতীয় একগুঁয়ে ফোস্কা কেবল ক্যান্সার হতে পারে। আমি আমার এই অনুভূতির কথা ডাক্তারকেও জানিয়েছি।’
এখানেই শেষ নয়, ২০১৯ সালে খবর এসেছিল যে সুনয়না বাইপোলার ডিসঅর্ডারের শিকার। এবং তাঁকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। যদিও সেই সময় পরিবারের নামে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, কারও সমর্থন পাচ্ছেন না। জীবন্ত নরকে রয়েছেন।