ওটিটি আর সিনেমা হল ভবিষ্যতে দুটোই থাকবে-- এমনটাই মত অনিল কাপুরের। শুক্রবার জাহ্নবীর সাথে হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২১-এ হাজির ছিলেন অভিনেতা। যদিও সশরীরে তিনি হাজির হতে পারেননি করোনা বিধিনিষেধের কারণে। তাই ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন এই সামিটে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এন্টারটেনমেন্ট ও লাইফস্টাইল এডিটর সোনাল কালরা জাহ্নবী আর অনিলের কাছে জানতে চান, করোনার সময় ওটিটি নিয়ে হাইপ উঠেছিল। এখনও একটা বড় অংশ ওটিটি-র ভরসা করছে বেশি। আবার প্রেক্ষাগৃহ খুলে যাওয়ায় সেটা নিয়েও মাতামাতি হচ্ছে। এই ব্যপারে তাঁদের কী মতামত। যাতে অনিলের জবাব, ‘দুটোই থাকবে। একসাথে চলবে একটা সময়। ওটিটির ফলে দর্শকরা এত ধরনের কাজের সাথে পরিচিত হতে পেরেছে যে তাঁদের পছন্দে বদল এসেছে। গোটা বিশ্বের সিনেমা, সিরিজ দেখার সুযোগ এসেছে তাঁদের কাছে। আর এটা সত্যি একটা ভালো বিষয়।’
জাহ্নবী জানান, ‘আমরা সত্যি এমন একটা সময়ে প্রবেশ করছি যখন সিনেমা আর ওয়েব সিরিজ দুটোই থাকবে। বড় পরদায় সিনেমা দেখা, সবার সাথে হাসা-কাঁদার মজাই আলাদা। আবার কেউ কেউ চাইছে বাড়ির আরামে বসেই সিনেমা দেখতে। কেউ ভয় পাচ্ছে। কেউ আবার ভাবছে আদৌ কি এই সিনেমাটা হলে গিয়ে দেখার মতো? আমার মনে হয় একটা সময় আসবে যখন প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি-- দু' জায়গার জন্য আলাদা আলাদা সিনেমা বানানো হবে।’
অনিলকে প্রশ্ন করা হয়, আন্তর্জাতিক সিনেমার ফলে কি বলিউড নিজের সিনেমার বানানোর চরিত্র বদলাবে? মসলা ফিল্ম যেগুলোর ট্যাগলাইনে লেখা থাকে ‘মাথা বাড়িতে রেখে সিনেমা হলে আসো’ সেগুলো কি চলবে? অভিনেতা জানান, ‘আমরা যাবে এখনে মসলা ছবি বলি তা কিন্তু গোটা বিশ্বে চলে, এমনকী ওটিটিতেও মসশা ছবির চাহিদা আছে। মসলা ছবি বানিয়ে দর্শককে হাসাতে আর কাঁদাতে গেলেও কিন্তু ভাবতে হয়। আর গোটা বিশ্বে এই ধরনের সিনেমা বানানো হচ্ছে। সেগুলো হিটও হচ্ছে। আসল কথা এগুলোকে এন্টারটেনিং হতে হবে।’