শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২১-এ যোগদান করলেন অনিল কাপুর আর জাহ্নবী কাপুর। জাহ্নবী সশরীরে সামিটে উপস্থিত থাকলেও বিদেশ থেকে ফিরে কড়া করোনা বিধির কারণে আসতে পারেননি অনিল কাপুর। তাই ভিডিয়ো কলে তিনি যোগ দেন অনুষ্ঠানে। হিন্দুস্তান টাইমসের এন্টারটেনমেন্ট ও লাইফস্টাইল এডিটর সোনাল কালরার সঙ্গে আলাপচারিতায় কথা বলেন ওটিটি থেকে বড় পরদা, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং, স্টার কিডডের নিয়ে।
‘স্টার কিড’ প্রসঙ্গে প্রথমে কথা বলেন জাহ্নবী। জানান, ‘হ্যাঁ, আমি এমন একটা পরিবার থেকে আসি যেখানে হয়তো আমার প্রথম সিনেমা পেতে সুবিধে হয়েছে। তার জন্য আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। কিন্তু সেটা নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। বরং, আমাকে যদি ভালো না লাগে তবে পরবর্তী সময়ে দর্শক কেন আসবে আমার সিনেমা দেখতে। সেটার জন্য তো আমাকে খাটতেই হবে। আর আমি আমার পরিবারের থেকেও সেটাই শিখেছি। কীভাবে নিজের জায়গা করতে খাটতে হয়। আমার মনে হয় ইনসাইডার আর আউটসাইডার কারও জন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সহজ একথা বলা যায়। সবার জার্নি আলাদা আলাদা।’
যদিও অনিল জানান, ‘এটা কিন্তু শুধু এখন নয়। আগেও হত। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না বলে এত বেশি হত না। আমি নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির আউটসাইডার হিসেবে পরিচয় দিতাম। সানি দেওল, সঞ্জয়, কুমার গৌরবদের সেই সময় স্টার কিড বলা হত। ওদের সমসবময় বাবার নাম নিয়ে তুলনা করা হত। কিন্তু ওরা সবাই, আরও অনেকে আছে যেমন ঋষি কাপুর নিজেদের নাম করেছে নিজেদের ক্ষমতায়। যার জন্য আমার গর্ব হয়। আমি এখন বুঝতে পারি যখন নিজের ছেলেমেয়েদের দেখি। ওদের কাছে কোনও ভুল করার সুযোগ নেই, কিন্তু আমি নিজে কত ভুল করেছি। আমার কত ছবি চলেনি, কানাড়া- তেলেগু ছবি করেছি। এমন অনেক ছবি করেছি যা কবে সিনেমা হলে শুরু হয়েছে, কবে বন্ধ হয়েছে কেউ জানে না। আর এখন যদি এটা কোনও স্টার কিডের সাথে হয় তাহলে তো লোক ধুইয়ে দিত। সাক্ষাৎকারে কিছু বলে ফেলুক, কোনও জামা পরুক, কোনও ছবি পোস্ট করুক, যাই করুক তা নিয়ে সমালোচনা হবেই। আমার তো মনে হয় স্টারকিডরা যারা বলিউডে নিজের জায়গা করতে পেরেছে, তাঁরা অনেক কঠিন কাজ করেছে। আমার সময়তেও দেখেছি স্টার কিডদের নিজেদের যোগ্য সম্মানটাও দেওয়া হয় না। ভালো অভিনয় করলেও তুলনা করা হয় বাবা-মায়ের সাথে।’
অনিল কাপুর আরও জানান, এখন ওটিটি, সিনেমা হল, ছোট পরদা মিলিয়ে এত কাজ রয়েছে যে যাঁর যোগ্যতা আছে, সেই কাজ পাবে। এখন আমার মনে হয় কাজ পাওয়ার সুযোগ বেশি আছে। সুতরাং নিজের রাস্তা নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে। কেউ কারও দিকে ‘খাবারের থালা’ এগিয়ে দেবে না!