সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর নেটপাড়ার রোষে মুখে তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ ঘরণীকে আয়না দেখাতে ছাড়ছেন না নেটিজেনরা। আর জি করের ঘটনা নিয়ে যখন গোটা বাংলায় শোকস্তব্ধ, সেইসময় ডোনার ‘রেপ-টেপ সব জায়গাতেই হয়’ এই কথা হজম হয়নি বাঙালির।
সোমবার বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের ডাকে এক নাচের অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিলেন ডোনা, সেখানেই এই বিতর্কিত কথাটি বলে বসেন প্রথিতযশা ওডিসি নৃত্যশিল্পী।
ডোনার মন্তব্যের ভিডিয়ো ফেসবুকের দেওয়ালে শেয়ার করে নেন অদিতি রায় নামের এক সংবাদকর্মী। সঙ্গে লেখেন, ‘সেই তো! খুবই খুশি হওয়ার মতোই ব্যাপার। তবে আসল ব্যাপারটা হল কে এই মহিলা? থাকে কোথায়? খায় কী? মাথায় কিছু নেই না হয়, কিন্তু হৃদয়ে?’ সেই পোস্টে দীপ্সিতা ধর লেখেন, ‘ছোটবেলায় ওনার নাচ দেখতে গেছিলাম মিলেনিয়াম পার্ক এ, ভালো লাগেনি, এই কথা গুলো শোনার পর নাচটা কম খারাপ লাগছে।’ ডোনার তাঁর জ্ঞানবুদ্ধি হারিয়েছেন এমন কথাও বলেন অনেকে।
সেই পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে ভাগ করে নিয়ে সাফাই দিলেন সৌরভ-পত্নী। ডোনা লেখেন, ‘আমি ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, প্রথমত একজন নারী, তারপর এক কন্যা সন্তানের মা। আমি পাগল নই যে রেপ-কে সমর্থন করব। বরং, আমি নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমি বলেছি, আমি নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে খুশি। যদি মহিলা সাংবাদিকরা আমার কথার ভুল অর্থ বার করেন তাহলে আমরা কী করে একটা আদর্শ সমাজ গড়ব যেখানে নারীরা মাথা উঁচু করে বাঁচবে, খুব দুঃখের!! আর যদি আপনাদের মনে হয় যে সঠিক উদ্দেশ্য় নিয়ে চলা একজন মহিলাকে ছোট করে আপনারা খুশি থাকবেন, তাহলে আমারও মনে হয় আপনাদের চিকিৎসার প্রয়োজন’।
ঠিক কী বলেছিলেন ডোনা?
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল ডোনাকে। তিনি জবাবে বলেন, ‘এতলোক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে। লোকের অসুস্থতা তো আর কমছে না। এটা তো আমাদের কর্তব্য। যেটা হয়েছে, রেপ-টেপ সব জায়গাতেই হয়। কিন্তু বাংলার মতো এত প্রতিবাদ কোথায় হচ্ছে?’
ডোনা আরও বলেন, ‘এটা তো আমাদের গর্ব বাংলার যে সব মানুষ প্রতিবাদ করছে। একদিকে ব্যাপারটা দুঃখের, তবে সব শ্রেণির মানুষ এসে প্রতিবাদ করছে। আমরা আজকেও তাসের দেশ করলাম, সেটাও একটা রবীন্দ্রনাথের প্রতিবাদের সুর। আশা করছি তাড়াতাড়ি জাস্টিস পেয়ে যাবে’।