কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক-প্রযোজক হিসেবে বলিউডে নিজের মাটিতে বেশ শক্ত করেছেন ফারহা খান। কিন্তু হঠাৎই খানিকটা বিরক্তির সুর ঝরে পড়ল ফারহার কণ্ঠে। কারওপর চটলেন, আপাতত এটাই জানতে চাইছে গোটা বলিউড। চলুন আমরাও নয় জেনে নেই চট করে।
আসলে করোনার জন্য বেশ ক্ষতিগ্রস্থ ইন্ডাস্ট্রি। একের পর এক ছবির কাজ পিছিয়েছে। কোনও ছবি অর্ধেক তৈরি হয়ে আটকে পড়ে আছে। অকাধিক অভিনেতা অভিযোগ করছেন, করোনার ফলে তাঁদের আর্থিক অনটনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। একেবার শুরুর দিকে, ২০২০ সালে তারকাদের লকডাউন পালনের মজার মজার ছবি দেখে বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন তিনি। সেবার তো ব্লক করারও হুমকি দিয়ে ফেলেছিলেন। এবার কী করলেন?
করোনা আর লকডাউন প্রসঙ্গে ফারহা জানালেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষ এটা ভোগ করছে। যার বলে লকডাউন উপভোগ করছি, তাদের সত্যি লক করে দেওয়া উচিত। বাড়ি বসে থাকা, অনিশ্চিত জীবন কাটানো সত্যিই একটা বড় ব্যাপার। যেখানে তোমার সন্তানরা ছোট, তোমার অনেক কাজ আটকে আছে। ভবিষ্যত নিয়ে কিছু চিন্তাই করতে পারছ না! কিন্তু এটাও ঠিক, এসব নিয়ে বেশি ভেবে নিজের মাথা খারাপ করেও তো কোনও লাভ নেই। যখন যেটা হওয়ার, ঠিক হবে।’
ফারহা জানালেন, ২০২০-তে ফারহা খানের নতুন ছবিতে হাত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে আপাতত তিনি সেই কাজ বন্ধ রেখেছেন। এখন যখন পিছনে ফিরে তাকাই, মনে হয়, ‘ভালো হয়েছে কাজে হাত দেইনি। নয়তো মাঝপথে আটকে যেত।’ আমার মনে হয় মহামারী আমাদের সবচেয়ে বড় একটা শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে, যেটুকু আছে সেটা নিয়েই খুশি থাক, ইঁদুর দৌঁড়ে সামিল না-হয়ে।
লকডাউন খুলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ছবির কাজে হাত দেওয়া নিয়েও আপাতত ভাবছেন না ফারহা। ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক ছবির মুক্তি আটকে আছে। সেগুলো আগে মুক্তি পেলে, ভালো ব্যবসা করলে তবেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আপাতত Comedy Factory- নামে একটি হাসির রিয়েলিটি যো-র বিচারকের আসনে রয়েছেন তিনি। ফারহার কথায়, আমার ভালো লাগে টিভি-র কাজ করতে। আর তাছাড়া হাসতেও বড়ই পছন্দ করি।