বিগ বস ১৪-র রানার আপ হন প্রতিযোগি রাহুল বৈদ্য। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ট্রফি ওঠে রুবিনার হাতে। তবে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার থেকে লড়াই করে হার স্বীকার করা তাঁর কাছে বেশি সম্মানের। সিজন শেষে সব থেকে বেশি ভোট পেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে ট্রফি ছিনিয়ে নেন রুবিনা। গোটা সিজেনে প্রচুর লড়াই-ঝগড়া তবে শেষটা ‘অল ইজ ওয়েল’ বলে একগাল হাসেন রাহুল বৈদ্য।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল জানান, রানার আপ হওয়ার জন্য তিনি দুঃখিত নন। তবে জিতলে পরে অবশ্যই আরও বেশি খুশি হতেন। তবে এটাতেও অনেক শান্তি। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি বিস বসে আমার জার্নি শেষ হল। আমি আরও বেশি খুশি হতাম যদি আমি জয়ী হতাম, তবে বিজয়ী তো একজনই হতে পারে। যাই হোক, আমি সব সময় বিশ্বাস করি মর্যাদার হার অনেক ভালো, দয়ার হারের থেকে। সত্যি বলতে আমি অনেক খুশি আমার পরিবার এবং বান্ধবীর কাছে ফিরে যেতে পেরে। এবার তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে পারব। আমি আমার সেরাটা দিয়ে সেরা দুজনের মধ্যে থাকতে পেরেছি এটাই অনেক। আমি খুব অবাক যে আমার দুঃখ হচ্ছে না’। যদিও তাঁর বান্ধবী দিশা পরমার কিন্তু মর্মাহত।
তিনি স্বীকার করতে নারাজ, ঘর থেকে সাময়িকভাবে বাইরে বেরিয়ে ফের যাওয়াটা বড় ফ্যাক্টর হয়েছে। রাহুল বিশ্বাসী, দর্শকেরা এত বিস্তারিত ভাবে মনে রাখেন না। তবে দর্শকদের সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন রাহুল।
বিগ বস ১৪-র সিজন রাহুলকে মনে করিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান আইডল-এর কথা। দুটো শো-তেই তিনি জিততে পারেননি। সেই প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘আমি আমার ভাগ্যকে সামান্য দোষারোপ করতে পারি। তবে আমি আমার ভাগ্যের ওপর ভরসা রেখে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ যা পেয়েছি ভাগ্যের জন্য। যা পেয়েছি তাঁর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ১৫ বছর আগে যখন ইন্ডিয়ান আইডলে ছিলাম তখন আমি আলাদা মানুষ ছিলাম, এখন আমি সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ, তাই আমার কোনো দুঃখ নেই’।
শো-তে যোগদান করার জন্য রাহুলকে তাঁর স্বপ্ন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি শো থেকে যা চেয়েছি ইতিমধ্যে তা পেয়ে গেছি। আমি সব সময় আরো অনেক নতুন ভক্ত চেয়েছিলাম। আমি সব সময় চেয়েছিলাম যাঁরা আমাকে চেনে না বা শোনেনি তাঁদের কাছে পৌঁছোতে। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে অবশ্যই পৌঁছোতে পেরেছি। এটাই আমার বিগবসে আসার একমাত্র কারণ ছিল। এটা আমাকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে’।