প্রতিবাদ করাই যায় এবং তা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু তার ফল কী হতে পারে সেটিও তাঁর ভালোভাবেই জানা আছে বলে বললেন সোনম কাপুর। অবশ্য সেই 'ফলাফল' নিয়েও যে তিনি খুব একটা চিন্তিত নন সেকথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন 'অনিল-কন্যা'। কিন্তু কী নিয়ে ঠিক এই প্রতিবাদ?
আসলে, ইন্ডাস্ট্রিতে পারিশ্রমিকের ব্যাপারে নায়ক-নায়িকার মধ্যে যে তারতম্য রয়েছে সে ব্যাপারে সোনমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানিয়েছেন গোটা ব্যাপারটাই তাঁর কাছে বেশ বিরক্তিকর। সমান যোগ্যতা থাকা সত্বেও ইন্ডাস্ট্রিতে নারী-পুরুষের মধ্যে পারিশ্রমিকের যে বেশ বড়সড় তফাৎ রয়েছে তা 'রিডিকিউলাস' বলেই মনে হয় তাঁর। না থেমে সোজাসুজি তিনি বলেছেন,' এই বিষয়ে প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়াতেই পারি। তবে তা করলে যে চরিত্রগুলো পাচ্ছি সেটাও আর পাবো না! অবশ্য তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কোনও অসুবিধে নেই আমার।' অসুবিধে না থাকার কেরন হিসেবে নায়িকা জানিয়েছেন যে তিনি 'প্রিভিলেজড', তাই এই নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রতিবাদ করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত অনায়াসেই নিতে পারেন তিনি। বক্তব্যর শেষে বলি-নায়িকার সংযোজন শেষ কয়েক বছরে তিনি উপলব্ধি করেছেন যে কাউকে বিচার করার কোনও অধিকার তাঁর নেই।
সদ্য সুজয় ঘোষের প্রযোজনায় সোম মখিজার নির্দেশনায় ‘ব্লাইন্ড’ ছবির কাজ শেষ করলেন সোনম। ছবির নাম 'ব্লাইন্ড'। এই ক্রাইম থ্রিলারে একজন দৃষ্টিহীন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে সোনমকে যিনি এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের সন্ধান শুরু করেন। শেষপর্যন্ত সোনম অপরাধীকে বাগে আনতে পারল কি না, তা নিয়েই এই ছবি। ছবির প্রায় গোটাটাই শুট হয়েছে স্কটল্যান্ডে। এই প্রসঙ্গে 'নীরজা' তারকার দাবি, শুটিংয়ের মাঝে সেটে থাকাকালীন তাঁকে চোখে সাদা লেন্স পরে থাকতে হয়েছিল রিয়েলিস্টিক ফিল আনার জন্যই।