নুসরতের বিয়ে বিতর্ক, যশের সঙ্গে প্রেম এবং মা হওয়ার খবর- এখন টলিপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। যশ দাশগুপ্তর রিয়েল লাইফে না হোক, রিল লাইফে সবচেয়ে চর্চিত সঙ্গী মধুমিতা সরকার সেকথা অস্বীকার করবার কোনও জায়গা নেই। এবার নুসরতের প্রেগন্যান্সি নিয়ে মুখ খুললেন মধুমিতা।
এক সাক্ষাত্কারে মধুমিতা জানালেন, 'নুসরত সাহসী মেয়ে, এবং মা হওয়ার সিদ্ধান্তটা ওঁর একটা সাহসী পদক্ষেপ। অবশ্যই বলব নুসরতের প্রেগন্যান্সি গ্লো সত্যি ওকে আরও সুন্দরী করে তুলেছে। বেবি বাম্পটাই যা দেখা যাচ্ছে, এর বাইরে শরীরের অন্য কোথাউ একফোঁটা বেবি ফ্যাট চোখে পড়ছে না। শুনছি শ্যুটিং সেটেও একইরকম এনার্জি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে… হ্যাটস অফ! আমি কোনওদিন ওঁর মতো এমন একটা সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারব না, কারণ আমাদের সমাজে এই বিষয়টা নিয়ে অনেক ছুঁৎমার্গ রয়েছে।
বিয়ে না করেই সন্তানের মা হওয়ার ব্যাপারে, এবং সিঙ্গল মা হওয়ার বিষয়ে কী ভাবেন মধুমিতা? প্রশ্ন শুনে ছোটপর্দার ‘পাখি’র সাফ জবাব, ‘এই ব্যাপারে নুসরত কোনওরম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, যে এটা ওর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের সন্তান কিনা, অথবা সিঙ্গল মাদার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও নুসরত কিছু বলেনি। তাই আমি এই নিয়ে কিছু বলব না, এটা ওর জীবন, এবং আমি কেউ নই ওকে বিচার করবার। ব্যক্তিগতভাবে এটা বলতে পারি, আমি নিজে বিয়ের বাইরে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী নই, কারণ আমার মনে হয় আমাদের দেশে, বিশেষত কলকাতায় মানুষের মানসিকতা এখনও এতটা স্বাধীন হয়েছে যে তাঁরা এই সিদ্ধান্তটা সাদরে গ্রহণ করবে। যদি আমি অন্তঃসত্ত্বা হই,তবে আমি চাইব আমার ভাবী সন্তানের বাবার নামটাও সকলে জানুক কারণ সেটা আমাদের দুজনের সন্তান, দুজনের দায়িত্ব। আমার সাহসিকতার জন্য আমার সন্তান কষ্ট পাবে সেটা আমি কোনওদিন চাইব না’।
সিঙ্গল মা হওয়াটা বিশাল বড় একটা সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব বলে মনে করেন মধুমিতা। খুব কম বয়সেই বিয়ে করেছিলেন নায়িকা, সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে দু-বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।আপাতত ডিভোর্সের আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তাঁর কথায়, 'আমি তখনই মাতৃত্বকে আলিঙ্গন করতে চাইব যখন আমার সন্তান বাবা-মা উভয়ের কাছেই ভালোবাসা পাবে। আমি যদি মা হই,তাহলে যাই হোক না কেন, আমি সেই বিয়ে ছেড়ে কোনওদিন বেরিয়ে আসব না'।
মধুমিতা-নুসরতের জীবনের একটা কমন লিঙ্ক রয়েছে- যশ দাশগুপ্ত। 'যশমিতা' আজও রাজ করছেন দর্শক মনে, অন্যদিকে গত কয়েকমাসে টলিপাড়ার টক অফ দ্য টাউন ‘যশরত’। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ কো-স্টার যশের প্রসঙ্গ উঠতেই মধুমিতা চটজলদি বললেন, ‘মানুষকে বুঝতে হবে পর্দা আর বাস্তবের ফারাকটা’।
একটা সময় শোনা গিয়েছিল সৌমিক হালদারের ডেব্যিউ ছবিতে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন যশ-মধুমিতা। সেই নিয়ে গুঞ্জনে শিলমোহর দিয়ে অভিনেত্রী জানান, ‘আসলে ওই সময় আমার ব্যক্তিগত জীবনে এতোকিছু চলছিল… আমি খুব স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হিরোইন হয়ে যশের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবার মতো পরিস্থিতিতে আমি ছিলাম না, তাই সেটা স্থগিত হয়ে যায়’।
শীঘ্রই টেলিভিশনে ফিরছেন যশ, তবে মধুমিতা জানালেন আগামী ১০ বছর অন্তত টিভির পর্দায় ফিরবেন না তিনি। তবে 'যশমিতা' জুটিকে আর দেখা যাবে না? সেটা সময়ের উপরই ছেড়ে দিলেন মধুমিতা। আর ছোটপর্দায় কামব্যাক নিয়ে জানালেন খুব ইন্টারেস্টিং কিছু প্রোজেক্ট হলে হয়ত মন পালটাবেন, আপতত রুপোলি পর্দাতেই ফোকাস করতে চান ‘চিনি’।