অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত অভয় দেওল, কল্কি কোয়েচলিন এবং মাহি গিল অভিনীত ‘দেব ডি’ সমালোচকদের কাছে ভীষণ ভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু জানলে অবাক হবেই এই ছবির অডিশনেও আসতে চাননি বেশ কিছু অভিনেত্রী! পরিচালক সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন যে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী সিনেমাটির জন্য অডিশন দিতে অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে চিত্রনাট্যটি পড়ার পর, একজন অভিনেত্রীর প্রেমিক নাকি তাঁকে চড় মেরেছিলেন।
মারাকেচ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কথোপকথনের সময়, অনুরাগ ছবিটির সম্পর্কে অকপটে নানা কথা বলেছেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, অনুরাগ বলেছেন, ‘আমার এই ছবিতে দু’জন নায়িক। আমি অকথ্য ভাষার ব্যবহার হোক বা কোনও সাহসী দৃশ্য কোনও কিছু থেকেই পিছপা হইনি। কিন্তু অডিশনের আগে যখন অভিনেত্রীরা স্ক্রিপ্টটা পড়েন তখন অনেকেই ছবির জন্য অডিশন দিতেও অস্বীকার করেন। এমনকী এক অভিনেত্রীর বয়ফ্রেন্ডকে চড়ও মেরে বলেছিলেন, ‘আপনি কোন সাহসে আমার গার্লফ্রেন্ডকে এই স্ক্রিপ্ট পাঠিয়েছেন? শেষে আমার প্রযোজকের স্ত্রীয়ের এই স্ক্রিপ্টটি পছন্দ হয়।’ পরিচালক রনি স্ক্রুওয়ালার স্ত্রীয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘যত বয়স বাড়ছে জামার সংখ্যা তত কমছে’, পুজোর আগে আফসোস সৌরসেনীর!
তিনি আরও বলেন, ‘দেবদাস উপন্যাস যেরকম তার থেকে একেবারে ভিন্ন ভাবে এই ছবিটা দেখাতে চেয়েছিলাম।’ অনুরাগ জানান যে, তিনি 'দেবদাস' থেকে তিনটি চরিত্র নিয়েছিলেন কেবল। সেই কথা তিনি স্পষ্টও করেছিলেন, যাতে দর্শকদের প্রত্যাশা শুরুতেই ভেঙে যায়। দর্শকদের যা সত্যই হতবাক করেছিল তা হল ছবিতে দুই নারী চরিত্রের পরিবেশনা। তারা মহিলা হলেও তাদের মধ্যে মিসজিনিস্টিক ভাব পু্রো মাত্রায় রাখা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, তারা পুরুষ চরিত্রের চেয়ে বেশি পুরুষতন্ত্রের প্রদর্শন করেছিল। তিনি নারীদের ছবির পক্ষে সমর্থন করেছিলেন এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ছবিটা দেখিয়ে ছিলেন। এক্ষেত্রে কিছু মানুষ যুক্তি দিয়েছিলেন যে এতে দেশের সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে।
তিনি শেষে বলেন, ‘এটা একটা দ্বিমুখী লড়াই ছিল... আমি দেবদাসের বিখ্যাত সমাপ্তি পরিবর্তন করেছি, কারণ উপন্যাসটা এই ঘৃণ্য চরিত্রের জন্য সহানুভূতি তৈরি করে মানুষের মনে। সে যেহেতু উপন্যাসের শেষে মারা যায়, তাই স্বাভাবিক ভাবেই সবাই তার জন্য দুঃখ অনুভব করে। আমি বলেছিলাম ওই চরিত্রটাকে আমি মেরে ফেলতে চাই না।'
তবে নানা বিতর্কের পরও ‘দেব ডি’ সেই সময়ের বিশাল হিট ছিল। 'দেবদাস'-এর চরিত্রগুলির তার ছবিতে একেবারে মোড়ক ভেঙে অন্য হয়ে ওঠে। পাশাপাশি ছবির গানগুলিও মানুষ বেশ পছন্দ করেছিলেন।