একবার না, একাধিকবার। ভেবেছিলেন জীবন শেষ করে দেবেন, আত্মহত্যা করবেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন অভিনেত্র্রী পার্নো মিত্র।
এমনিতেই বরাবর একটা ধারণা চলে, বিনোদন জগতের মানুষরা অবসাদে ভুগতে পারেন না! সেই ধারণা বলিউডের সুপারস্টারদের প্রথম ভেঙেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কোনও লুকোছাপা না করে জানিয়েছিলেন, কীভাবে তিনি অবসাদে ভুগতেন। সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনা সেই অবসাদের ফল যে কতটা মারাত্মক, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব নিয়ে আবারও বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পার্নো জানান, একটা সময় অবসাদের কারাগারে তিনিও আটকে পড়েছিলেন। সমস্ত আশা হারিয়ে জীবন শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। একাধিক টুইটবার্তায় পার্নো বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আত্মহত্যাপ্রবণ এবং কয়েকবার সেই কাজটা করার কথাও ভেবেছি। যন্ত্রণাটা চলে যায় না। আমরা ধীরে ধীরে এমন একটা খোলসের মধ্যে ঢুকে পড়ি যেটা ভাঙা যায় না। সেটা (অবসাদের বিষয়ে) খুলে বলা বা হঠাৎ কারোর সঙ্গে (এ বিষয়ে) কথা বলা একেবারেই সোজা নয়। এটা আপনার নিজের একটা অংশ হয়ে ওঠে।’
সেই দলা পাকানো অনুভূতি-যন্ত্রণার মধ্য়েই বাঁচার উপায় খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পার্নো। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তিনি বলেন, ‘যে কেউই এই সমস্যায় ভুগছেন, দয়া করে সাহায্য নিন। আমি এটার সঙ্গে লড়াই করেছি এবং করছিও। এটা সহজ নয়। তবে আমার বন্ধু এবং পরিবার আছে, যারা আমার সঙ্গে ছিল। আমার চিকিৎসকরা খুব সমর্থন জুগিয়েছেন। তাই এটাকে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডের গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখবেন না। সহানুভূতিশীল হন এবং নিজের প্রিয়জনদের খেয়াল রাখুন।’