'জয় মহারাষ্ট্র'- মঙ্গলবার সকালে মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে পুজো দিয়ে এ কথাই ঘোষণা করলেন কঙ্গনা রানাওয়ত। অবশেষে কর্মভূমি মুম্বইতে ফিরলেন কঙ্গনা। থালাইভির শ্যুটিং সেরে চেন্নাই থেকে সোজা মানালি ফিরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী, সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রীর ঠাকুরদা। মঙ্গলবার সকালে মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনিয়াক মন্দিরে দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের সঙ্গে লেন্সবন্দি হলেন কঙ্গনা।
একদম সাবেকি সাজে এদিন মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন কঙ্গনা। ভারি সিল্কের সবুজ শাড়িতে পাওয়া গেল কঙ্গনাকে, গলায় ছিল মন্দিরের হলুদ-কমলা উত্তরীয়। ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী ঘিরে ছিল কঙ্গনাকে। গণপতির আর্শীবাদ নিতেই সাত সকালে মন্দিরে পৌঁছান কঙ্গনা। সাদা মাস্ক মুখে ঢেকেই মন্দিরে প্রবেশ করেন কঙ্গনা। তবে বাইরে এসে অনুরাগীদের উদ্দেশে হাত নাড়বার সময় মুখের মাস্ক খুলে ফেলেন অভিনেত্রী।
এদিন একদম চেনা পরিচিত মেজাজে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হন কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে নায়িকার বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। মুম্বই পুলিশের সঙ্গেও কঙ্গনার সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। মুম্বইয়ে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’-এর সঙ্গে তুলনা করে উদ্ধব সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে কঙ্গনাকে, এরপর হিমাচল সরকারের অনুরোধে কেন্দ্রের তরফে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয় তাঁকে। অফিস বাড়ি ভাঙার মামলায় বিএমসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে বড় জয় পেয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী কঙ্গনা, তিনি নাম না করেই এদিন কড়া বার্তা দিলেন উদ্ধব ঠাকরেকে।
এদিন কঙ্গনা রানাওয়াত সাফ জানান, ‘মহারাষ্ট্রে থাকতে হলে আমার শুধু গণপতি বাবার অনুমতি প্রয়োজন, আমি সেই কারণেই এখানে এসেছি’। উল্লেখ্য, মুম্বইকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করবার পর রাজ্যের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সহ বহু নেতাই প্রকাশ্যে বলেছেন- ‘কঙ্গনার মুম্বইতে থাকবার প্রয়োজন নেই’, এদিন সেই কটাক্ষেরই পরোক্ষ জবাব দিলেন কঙ্গনা।