গায়ক ছাড়াও তাঁর অপর একটি পরিচয় আছে সোনু নিগমের। তিনি একজন পারফেক্ট বাবাও। তবে শুধু ছেলে নিভানের বাবা না, তিনি পোষ্য গগলস এবং শিফুর ও বাবা বটে।তবে পশুর প্রতি এই ভালোবাসা শুরু থেকে মোটেই এমন ছিল না তাঁর।এই কুকুরকে নিজের পরিবারের অংশ করার আগে তাঁকে অনেক ভয় কাটিয়ে উঠতে হয়।
সোনু বলেছেন, ‘ছোটবেলায় আমার ভাইবোন – মীনাল, তিশা এবং আমি – কখনই কুকুর পছন্দ করতাম না। রাস্তার কুকুরগুলি আমাদের স্কুটার এবং সাইকেলকে তাড়া করার সঙ্গে আমাদের ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছিল , যা থেকে আমাদের তাদের সম্পর্কে ভয় তৈরি হয়।’
আরও পড়ুন: (ডায়েটের কোথায় কী! তেলেভাজা পরোটা আর মশালাদার গোলবাড়ির কষা মাংস দেখে লোভ সামলাতে পারলেন না মধুমিতা)
'ধীরে ধীরে, আমরা অন্য মানুষের বাড়িতে কুকুরের উপস্থিতিতে অভ্যস্ত হতে শুরু করি এবং সেই থেকেই আমাদের মনের ভিতরের ভয় আনন্দে রূপান্তরিত হয়। এখন আমাদের তিনজনেরই নিজস্ব পোষা কুকুর পরিবার রয়েছে।’
তিনি কীভাবে তার পোষা প্রাণীকে নিজের পরিবারের অংশ করে নিয়েছিলেন সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম পোষা প্রাণী ছিল সান্তা , যে দুই বছর আগে মারা গিয়েছিল। গগলস এবং শিফুকে তাদের ভাই জেন সহ দত্তক নেওয়া হয়। আমি আমার বোন তিশাকে এই জেনকে উপহার হিসাবে দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে এই পোষ্যদের যোগ করতে পেরে তিনি খুব খুশি।
আরও পড়ুন: (‘ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছিল বাড়িতে চলা গুলির শব্দ’, পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে আর কী কী জানালেন সলমন)
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন, ২০২৪ অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদাপূর্ণ সিডনি অপেরা হাউসে প্রায় টানা ৮ ঘণ্টা পারফর্ম করেন তিনি। এর পরেই সাড়া ফেলেছেন শিল্পী।
এই প্রসঙ্গে মুম্বই সংবাদসংস্থার কাছে শিল্পী বলেন, ‘যা ঘটছে, তা উপলব্ধি করে আমি অভিভূত। ভাষা হারিয়েছি। বহু দশক ধরে ঈশ্বর আমাকে দেখে আসছেন, কিন্তু গত দুই বছর ব্যতিক্রমী। গান ও কনসার্ট আমাকে খুব আবেগপ্রবণ করে তোলে। সিডনি অপেরা হাউসের মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থানে একদিনে দু'টি শো করা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব হত না।‘
অপেরা হাউসে পর পর দুটো অনুষ্ঠান করা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, ‘আমার ওয়ান-ম্যান শো। এবং আমি প্রতিটি শো-তে চেষ্টা করি যেন এটাই শেষ, এবং আমাকে সেরাটুকু দিতে হবে। কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করেছি যে তিন ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানের পরেও আমি অন্য শো'তে যেতে পারি। সে কারণেই আমি একই দিনে দ্বিতীয় শোয়ের জন্য আমার সম্মতি দিয়েছিলাম। আমি খুশি যে ঈশ্বর এই চ্যালেঞ্জে আমার পাশে ছিলেন।’