বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Kriti Sanon: ‘বাড়ি ফিরে হাউ হাউ করে কেঁদেছি…’, প্রথম ফটোশ্যুটে ধেড়িয়ে ছিলেন ‘নাভার্স’ কৃতী!

Kriti Sanon: ‘বাড়ি ফিরে হাউ হাউ করে কেঁদেছি…’, প্রথম ফটোশ্যুটে ধেড়িয়ে ছিলেন ‘নাভার্স’ কৃতী!

কৃৃতি শ্যানন (ANI Photo)

Kriti Sanon: ‘সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই জীবনে বেশি শেখায়’, বিশ্বাস কৃতি শ্যাননের। সামনেই মুক্তি পাবে কৃতির ‘আদিপুরুষ’, ছবির প্রচারে ব্যস্ত নায়িকা। 

শুধু পেশাদার জীবন নয়, আজকাল প্রভাসের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কের জেরে হামেশাই সংবাদ শিরোনামে কৃতি শ্যানন। শীঘ্রই ‘রাঘব’ প্রভাসের ‘সীতা' হিসাবে ধরা দেবেন অভিনেত্রী। দু-দিন আগেই সামনে এসেছে ‘আদিপুরুষ’-এর ট্রেলার। এর মাঝেই মডেলিং-এর দিনের স্মৃতিতে ডুব দিলেন এই বলি নায়িকা। 

বলিউডের অন্যতম দীর্ঘাঙ্গী নায়িকা কৃতি। অভিনয় শুরুর আগে ফ্যাশন ব়্যাম্পের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। কিন্তু জীবনের প্রথম ফটোশ্যুটের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয় কৃতির কাছে। অভিনেত্রী জানান, ওইদিন বাড়ি ফিরে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন তিনি। 

‘আদিপুরুষ’-এর প্রচারের ফাঁকে কৃতি জানান, প্রথমবার ফটোশ্য়ুট করার আগে প্রচণ্ড ‘নার্ভাস’ ছিলেন তিনি। আসলে তাঁর পরিবারের কেউই গ্ল্যামার জগতের মানুষ নন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মা প্রফেসর, উনি আমার পরিবারের প্রথম মহিলা যিনি বাইরে বেরিয়ে কাজ করেছেন। গর্ভবতী অবস্থাতে উনি পিএইচডি সম্পূর্ণ করেছিলেন। তারপর আমার জন্ম, বড় মেয়ে হওয়ার সুবাদে আমি সবসময় একটা বাড়তি দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে রাখি, যে আমাকে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি যা করব সেটা যেন একদম পারফেক্ট হয়, কোনও ভুলভ্রান্তি না থাকে।’

এরপর কৃতি বলেন, ‘কিন্তু আমার প্রথম ফটোশ্যুটের দিন আমি প্রচণ্ড নার্ভাস ছিল, এবং সবকিছু ধেড়িয়ে দিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে প্রচুর কেঁদেছিলাম, যে কেন আমি ভালো করতে পারলাম না। তবে এটা ঠিক ধীরে ধীরে তোমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। আসলে তুমি নিজের সাফল্য থেকে যতটা না শিখতে পারো, যার চেয়ে অনেক বেশি তোমাকে শেখায় ব্যর্থতা। এই মন্ত্রেই আমি দীক্ষিত। নিজের ভুলগুলো উপলব্ধি করে সামনে এগিয়ে চলা’। 

২০১৪ সালে তেলুগু ছবি ‘১: নেনোক্কাদিনে’ (1: Nenokkadine)-র সঙ্গে অভিনয় সফর শুরু কৃতির। ওই বছরই ‘হিরোপন্তি’ ছবির সঙ্গে বলিউডে পা রাখেন তিনি। বিপরীতে ছিলেন টাইগার শ্রফ। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় এক দশক পার করে ফেলেছেন কৃতি। 

 

বন্ধ করুন