১৯৭৫ সালে ১৫ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল 'শোলে'। বাকিটুকু ইতিহাস। হিন্দি ছবির ইতিহাসে 'সেরার সেরা' তকমা পাওয়া এই ছবি চলতি বছর পা দিল ৪৬ বছরে। ছবির গল্প, সংলাপ, সুর, অভিনয় সবকিছুতেই নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছিল এই ছবি। ছবি মুক্তির পর পর এই ছবির সাফল্য ঘিরে সন্দেহের আঁচ উঠলেও মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই টের পাওয়া গেছিল হিন্দি ছবির ইতিহাসে তৈরি হতে চলা নতুন অধ্যায়ের। সম্প্রতি, 'শোলে'-র মুক্তির ৪৬তম বছর উপলক্ষে একটি টুইট করেন ছবির পরিচালক রমেশ সিপ্পি।
'শোলে'-র শুটিং চলাকালীন একটি ছবি পোস্ট করেছেন রমেশ। সেখানে দেখা যাচ্ছে একসারিতে অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, হেমা, আমজাদ খান, সঞ্জীব কুমার, এ কে হাঙ্গল-এর সঙ্গে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, 'দেখতে দেখতে ৪৬ বছর পেরিয়ে গেল 'শোলে'। সময় কত তাড়াতাড়ি কেটে যায়। ৪৬ বছর পেরিয়েও এত দারুণ একটা ইউনিট এবং সেরা অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করার স্মৃতি আজও টাটকা।' টুইটে অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, জয়া এবং জাভেদ আখতারকে তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টটি ট্যাগও করেন তিনি। পাশাপাশি এই ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধুনা প্রয়াত অভিনেতা আমজাদ খান, সঞ্জীব কুমার, জগদীপ- এর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হ্যাশট্যাগ এর মাধ্যমে তাঁদের নাম উল্লেখ করে স্মরণ করেছেন তিনি।
'শোলে'-এর পরিচালকের টুইটের পাল্টা জবাব দিয়েছেন 'বীরু'। রমেশকে 'ক্যাপ্টেন' উল্লেখ করে তাঁর টুইটটি রিটুইট করে ধর্মেন্দ্র লিখেছেন, ' ৪৬ বছর পেরিয়ে গেল শোলে। তার জন্য প্রথমেই জানাই শুভেচ্ছা। আর এও জানিয়ে রাখি বলে এরকম কালজয়ী হয়ে ওঠার পিছনে সবথেকে বড় অবদান তোমারই ছিল। তবে তোমার ছবির এই তারকাখচিত সেরা অভিনেতাদের দলে সম্ভবত আমিই একমাত্র খারাপ অভিনেতা ছিলাম'।
যদিও 'শোলে' বখতরা 'বীরু'-র বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষন করেননি। একাধিক নেট নাগরিক স্পষ্টভাবে কমেন্টে জানিয়েছেন যে 'বীরু' চরিত্রটিকে ধর্মেন্দ্র নিজ অভিনয়গুণে যেভাবে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তা অন্য কোনও অভিনেতার পক্ষে করা সম্ভবই হতো না।