‘আমি পাঠান দেখব না’, শাহরুখের ছবি নিয়ে সাফ জবাব গেরুয়া দলের রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের

২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলা পাঠান নিয়ে এর আগে মুখ খুলেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। এবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানালেন তিনি দেখবেন না শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোনের পাঠান।

‘পাঠান’ দেখব না, দাবি বিজেপির রূপার।

গেরুয়া রং এখন ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম বড় অঙ্গ। আর সেই রঙের বিকিনি পরে ‘বেশরম রং’ গানে নেচে বিতর্ক কুড়িয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। পাঠান বয়কটেরও ডাক উঠেছে নানা রাজ্যে। যাতে সামিল হয়েছেন শাসক দল বিজেপির নেতারা। কী বলছেন গেরুয়া দলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। 

২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে পাঠান। সিনেমায় ও সিনেমার গানে একাধিক কাটের নির্দেশ দিয়েছে সিবিএফসি। দীপিকার সোনালি বিকিনির ‘সাইড পোজ’ ছাড়াও ‘বাহুত তং কিয়া’র সময় অভিনেত্রীর নিতম্বের ক্লোজ আপ শট এবং সংবেদনশীল নৃত্যের ভিজ্যুয়ালগুলি সরানো হয়েছে। একাধিক বিজেপি নেতার দাবি ‘অশ্লীলতা’ ছড়াচ্ছে পাঠান। তা কী মত রূপার? তিনি নিজে কি এই সিনেমা আদৌ দেখবেন?

রূপার সাফ জবাব ‘আমি পাঠান দেখব না’। তবে নিজের এই কথার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, ‘বিকিনি-বিতর্ক নিয়ে অবগত নই। তবে ওই ছবি নিয়ে যা শুনছি চারপাশে, তাতে আমি এই ছবি দেখতে একেবারেই আগ্রহী নই। তবে কেউ দেখলে তো আটকাতে পারি না।’

প্রসঙ্গত, বহু বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন রূপা নিজেও। জলদি আসছে তাঁর ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’। আপাতত তাঁরই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তিনি। ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এই ধারাবাহিক।

বিতর্কের ছিটেফোঁটা রাখেননি নির্মাতারা পাঠান-এর ট্রেলারে। গেরুয়া বিকিনির কোনও দৃশ্যই নেই। নেই দীপিকার ছোট পোশাক। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন বিতর্ক এতে কমবে। কিন্তু তাতেও ছবি বয়কটের ডাক থেকে সরতে রাজি নন একটা অংশ। দিনকয়েক আগে বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে আহমেদাবাদের এক মাল্টিপ্লেক্সে ভাঙচুরও চালানো হয়। 

গুজরাট ভিএইচপি-র মুখপাত্র হিতন্দ্রসিংহ রাজপুত সাফ জানিয়েছেন, ‘আমরা এই সিনেমাকে গুজরাটে মুক্তি পেতে দেব না। আমাদের ছবিটা দেখার কোনও উৎসাহ নেই। কিন্তু নির্মাতারা যদি চান গুজরাটে সিনেমাটা আসুক তাহলে আমাদেরকে তা আগে দেখাতে হবে। হিন্দু ধর্মের নেতারা তা আগে দেখবে ও তারপর সিদ্ধান্ত নেবে এটা আদৌ এখানে মুক্তির যোগ্য কি না!’ তিনি আরও জানান, তাঁদের পক্ষে এরমধ্যেই গুজরাটের হল মালিকদের সঙ্গে দেখা করে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর নির্মাতাদের কাছে নির্দেশ যেন অবিলম্বে ‘আপত্তিকর অংশ’ সরিয়ে ফেলা হয়।