‘ভুলভাবে’ পরা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার উর্দি। একইসঙ্গে উর্দি পরিহিত অবস্থায় যে ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে, তা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর আচরণগতগত নিয়মের বিরোধী। সেজন্য ‘একে ভার্সেস একে’ (AK vs AK)-এর ট্রেলার থেকে সেই সংক্রান্ত দৃশ্য মুছে দিতে বলল বায়ুসেনা।
বুধবার ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে ‘একে ভার্সেস একে’ (AK vs AK)-এর ট্রেলারের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়। সঙ্গে বলা হয়, 'এই ভিডিয়োয় ভুলভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার উর্দি পরা হয়েছে এবং যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা অনুপযুক্ত। তা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর আচরণগত নিয়মের সঙ্গে খাপ খায় না। এই সংক্রান্ত দৃশ্য তুলে নিতে হবে।' সেই টুইটে নেটফ্লিক্স ও অনুরাগ কাশ্যপকে ট্যাগ করা হয়।
সেই ট্রেলারের শুরুতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে পাশাপাশি বসে থাকা অনুরাগ কাশ্যপ, অনিল কাপুর বলিউডে ‘ইনসাইডার-আউটসাইডার’ বিতর্ককে উসকে দেন। এরপর অনুরাগ রিয়েল টাইমে একটি ফিল্ম শ্যুট করবার প্রস্তাব দেন, যেখানে অনিল কাপুরকে তাঁর অপহৃত মেয়ে তথা অভিনেত্রী সোনম কাপুরকে খুঁজে বের করতে হবে। সেক্ষেত্রে শর্ত ছিল, পুলিশের সাহায্য নেওয়া যাবে না, বা কাউকে এই সম্পর্কে কোনও কিছু বলা যাবে না। সব বাধা পেরিয়ে মাত্র ১০ ঘণ্টাতেই মেয়েকে খুঁজে দেখাবেন ৬২ বছরের অনিল।
পরে নেটফ্লিক্সের তরফে টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘শ্রদ্ধেয় ভারতীয় বায়ুসেেনা, কোনওভাবেই ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে কখনও অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য হবে না। একে ভার্সেস একে সিনেমায় অনিল কাপুর এবং তাঁর সহ-অভিনেতারা নিজেদের চরিত্রেই অভিনয় করছেন।’
তবে টুইটারে নেটফ্লিক্লের তরফে সেই দৃশ্যগুলি মুছে দেওয়ার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। দ্বিতীয় টুইটে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘কোনওভাবেই সিনেমাটি ভারতীয় বায়ুসেনা বা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করছে না। সেইসব সাহসী মানুষদের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পোষণ করি। যাঁরা আমাদের দেশকে রক্ষা করেন।’
অনিল কাপুর অবশ্য পরে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানান, ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ কারোর অনুভূতি আঘাত দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। কেন সিনেমায় বায়ুসেনার উর্দি পরেছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দেন। জানান, সিনেমায় তাঁর চরিত্র ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার একজন অফিসারের। যিনি জানতে পারেন যে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। সেই 'রাগ'-এর মাথায় নিজের মেয়েকে খোঁজার জন্য সিনেমার ‘স্বার্থে’ তাঁর চরিত্র বাকি সময়টুকু বায়ুসেনার উর্দি পরেছিলেন। শেষে আবারও ক্ষমা চেয়ে অনিল জানান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তিনি সর্বদা সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা বজায় রেখেছেন।