নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ 'আইসি 814: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ (IC 814: The Kandahar Hijack)। আর এই সিরিজ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে । কারণ সিরিজের দুই ছিনতাইকারীর নাম রাখা হয়েছে 'ভোলা' ও 'শঙ্কর'। আর তা নিয়েই বিতর্কের ঝড় বইছে। আর এবার নেটফ্লিক্সের কনটেন্ট হেডকে ডেকে পাঠাল তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক।
সংবাদ সংস্থা ANI-এর তরফে বিতর্ক ঘিরে নেটফ্লিক্সের কনটেন্ট হেডকে কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের ডেকে পাঠানোর খবর মিলেছে। মঙ্গলবার তাঁকে ডাকা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে নেপালে কাঠমান্ডু থেকে আসা ভারতীয় বিমানকে হাইজ্যাক করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। পরিবর্তে কিছু জঙ্গীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে অনুভব সিনহার ওয়েব সিরিজ ‘আইসি 814: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’। ফ্রি প্রেস জার্নালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, বাস্তবে বিমান ছিনতাই-এর ঘটনায় পাঁচ ছিনতাইকারীর নাম ছিল ইব্রাহিম আতহার, শহীদ আখতার সাঈদ, সানি আহমেদ কাজী, জহুর মিস্ত্রি এবং শাকির, যারা পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য ছিলেন।
তবে IC 814: The Kandahar Hijack-ওয়েব সিরিজে সন্ত্রাসীদের নিজেদের 'ভোলা' এবং 'শঙ্কর' হিসেবে পরিচয় দিতে দেখা যায় এবং একজন নিজেকে 'বার্গার' বলেও পরিচয় দেন। আর এরপরই পরিচালক অনুভব সিনহার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকরা। অনেকেরই অভিযোগ, 'অনুভব সিনহা কেন তথ্য বিকৃত করছেন?' ‘সন্ত্রাসবাদীরা মুসলিম, সন্ত্রাসের যদি কোনও ধর্ম না হবে, তাহলে মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের নাম বদলে কেন বদলে ভোলা, শঙ্কর রাখা হবে!’এক নেটিজেন লেখেন, 'সিনেমাতে এই ভাবেই হোয়াইটওয়াশিং করা হয়।' কেউ লিখেছেন, 'অপহরণকারীদের 'শঙ্কর' এবং 'ভোলা নামকরণের জন্য অনুভব সিনহা লজ্জা পাওয়া দরকার! খবর অনুযায়ী সমস্ত ছিনতাইকারীরা ছিল মুসলিম।' তবে অন্য এক নেটিজেনরা উল্লেখ করেছেন যে, 'অপারেশনের সময় ছিনতাইকারীরা 'ভোলা' এবং 'শঙ্কর' এই দুটি নাম সাংকেতিক নাম হিসেবে ব্যবহার করেছিল। তবে এই বিষয়টা সিরিজে আরও পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত ছিল।'
প্রসঙ্গত ২৯ অগস্ট থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে ‘আইসি 814: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’। যেখানে অভিনয় করেছেন বিজয় বর্মা, নাসিরুদ্দিন শাহ, পঙ্কজ কাপুর, পত্রলেখা, দিয়া মির্জা, অরবিন্দ স্বামী এবং অন্যান্যরা।