শরীর নিয়ে কটু বা তীর্যক মন্তব্য শুনতে হয়নি এমন মানুষ বিরল। বিশেষ করে বহু নারীই মুখোমুখি হয়েছেন বডি শেমিংয়ের। কেউ কেউ সপাটে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেও বেশিরভাগই প্রত্যুত্তরে চুপ করে থাকেন। এবার বডি শেমিং নিয়ে মুখ খুললেন ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ। জানালেন,কিশোরী বয়স থেকেই এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তিনি। তাঁর মতে,বডি শেমিংয়ের ' ক্ষত' শুকিয়ে গেলেও মনের গভীর গোপনে এর দাগ দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যায়। সঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন,' যে যা বলছে বলুক,পাত্তা দিই না' ধরণের মনোভাব মুখে বলা যতটা সহজ,হাতে কলমে করে দেখানোটা ততটাই কঠিন। 'বরফি'-র অভিনেত্রীর কথায়,'নিজের বিষয়ে কী ধারণা পোষণ করছি আমরা,সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটাই।'
এ প্রসঙ্গে ইলিয়ানা বলেন যে বছর ১২ বয়স থেকেই তাঁকে সম্মুখীন হতে হয়েছে এরকম পরিস্থিতির। একাধিকবার। এমনকি তাঁর নিতম্ব আকার নিয়েও নানান কটু প্রশ্নের সরাসরি সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। ইলিয়ানার মতে,তখন সেসব এড়িয়ে গেলেও বারবার অন্যদের মুখে শরীরী বিষয়ে নানা কটাক্ষ ও হেনস্থা শুনতে শুনতে তাঁরও মনে হয়েছিল সেসব বুঝি সত্যিই। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে অসম্ভব মনের জোর ও মানসিক কাঠিন্যের প্রয়োজন সেকথাও জোরের সঙ্গে জানান তিনি। ইলিয়ানার কথায়,' এ ব্যাপারে নিজের বিষয়ে,শরীরের ব্যাপারে আমি কী ভাবছি,কেমন ভাবছি সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। আর কিচ্ছু নয়। প্রতিদিন নিজেকে আমি এই কথাটাই মনে করাই।' এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী কোনও রাখঢাক না করে বলেন যে এইমুহূর্তে যদি তাঁর ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তাহলে অন্তত কমপক্ষে ১০জন মানুষকে পাওয়া যাবে যাঁরা তাঁর শরীর নিয়ে কুমন্তব্য করেছে। এই সাক্ষাৎকারে সকলের উদ্দেশে ইলিয়ানা বলেন হৃদয়ে দয়ার পরিমাণটা আরও একটু বাড়াতে। 'বডি শেমিং যে কতটা মানসিক ক্ষেত্রে আঘাত হানতে পারে, তা যার প্রতি করা হয় সেইই বোঝে। তাই আমার অনুরোধ সংযত থাকুন। ব্যবহারে ও কথায়। একমাত্র নিজেদের আচরণের ওপরেই আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে।' অনুরোধ রাখেন ইলিয়ানা।