রণবীর সিং-এর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। তাঁর হাত ধরেই বলিউডে উত্থান ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ তারকার। পরপর বনশালির তিন ছবি- ‘রাম লীলা’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘পদ্মাবত’-এর নায়ক রণবীর সিং। শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে পরিচালকের নতুন ছবি ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’। আর এই ছবি মুক্তির সময়ই নিজের কেরিয়ারে বনশালির অবদান নিয়ে মুখ খুললেন দীপিকার স্বামী।
গত বৃহস্পতিবার ছিল বনশালির ৫৯তম জন্মদিন। এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে একটি দীর্ঘ বিবৃতি জারি করেছেন রণবীর। তিনি লেখেন, ‘বনশালি এমন একজন মানুষ যিনি আমাকে গড়েছেন একজন শিল্পী হিসাবে। জীবনে আমি এমন কারুর সান্নিধ্যে আসিনি, যিনি আমার শিল্পী সত্ত্বাকে এইভাবে সামনে এনেছেন। অভিনয় সম্পর্কে আমরা একটা নির্দিষ্ট ধারণা ছিল ওঁনার সংস্পর্শে আসবার আগে। আমি ভাবতাম, আমি সব জানি, সবটা। কিন্তু সেই ধারণা ভেঙে চুরমার করে দেন মিস্টার বনশালি। উনি আমাকে ভেঙে দেন, ছাইতে পরিণত করেন। যাতে সেই ছাই থেকে আমি পুর্নজন্ম নিতে পারি। আর সেই জন্মটা নিয়েছিলাম বলেই আজ আমি শিল্পী হিসাবে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। আমি আজীবন ওঁনার কাছে ঋণী থাকব এই কারণে’।
রণবীরের কেরিয়ারের সবচেয়ে সেরা চরিত্রগুলো নিঃসন্দেহে বনশালির দান। যার মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসিত হয়েছে আলাউদ্দিন খলজির চরিত্রটি। পরিচালক বনশালি সম্পর্কে রণবীর জানিয়েছে, ‘ওঁনার মধ্যে একটা বন্য ভাবনা থাকে পরিচালক হিসাবে, যে একটা দৃশ্যে সেই চরিত্রটা কী করবে, তার চয়েস কেমন হবে’।
বক্স অফিসে রণবীরের শেষ রিলিজ ছিল ‘৮৩’। যে ছবি ম্যাজিক দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। আপতত ‘জয়েশভাই জোরদার’ এবং ‘সার্কাস’-এর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন রণবীর। পাশাপাশি পরিচালক করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি’র শ্যুটিংও শেষ করেছেন রণবীর।