২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন গায়িকা ইমন চক্রর্তী ও সুরকার নীলাঞ্জন ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয় এই জুটি। একসঙ্গে ছবি, রিলস শেয়ার করে থাকেন দুজনেই। তবে দুজনের মধ্যেকার কেমিস্ট্রি বাস্তবে ঠিক কেমন, তা ধরা পড়েছিল দিদি নম্বর ১-এ।
যেখানে নীলাঞ্জন একেবারে অভিযোগের ঝুলি খুলে বসেন রচনার সামনে। যাতে ইমনের জবাব, ‘ও আমাকে সবসময় অপমান করে’! নীলেঞ্জনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি মাঝে মাঝে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই ভাগ্যিস আমার অনেক ধৈর্য।’ ইমন তাতে বলে ওঠেন, ‘আমি কিন্তু কিছুই এমন করি না, সবার কথাথটা শুনে চলি। আমার বাবাও এসে এসব ভুলভাল কথা বলে গেছে।’
প্রথম দেখাটা কেমন ছিল ইমন-নীলাঞ্জনের সেটাও ফাঁস করেন এদিন। ইমন জানান, ‘প্রথমদিন ১৫ মিনিট দেরি করেছিলাম। খুব অপমান করেছিল আমায়।’ এরপরের ঘটনা ব্যক্ত করেন নীলাঞ্জন, ‘আসার সঙ্গে সঙ্গেই যেটা বলেছিল তা হল আমায় চলে যেতে হবে। ফ্লাইট ধরার নাম করে বার্থ ডে পার্টিতে গিয়েছিল। ও বোঝেনি গল্প দিলে কিছু লোক মুখ দেখে বুঝে যায়।’ আরও পড়ুন: বইমেলায় কাছাকাছি এলেন সোহিনী-রণজয়! তবে কি জোড়া লাগল সম্পর্ক, কী বলছেন অভিনেতা?
কোথাও বেড়নোর সময় আর পাঁচটা মেয়ের মতো নখরা করেন ইমন বলেই জানান তাঁর সুরকার স্বামী। বলেন, ‘কোথাও একটা বেড় হবে। এক আলমারি জামার দিকে তাকিয়ে বলবে আমার কিছু নেই।’ এতেই ইমন বলে ওঠেন, ‘ও শুধু আমাকে অপমানই করে’! আরও পড়ুন: TRP স্কোর কমছে অনুরাগের ছোঁয়ার, আর টপে থাকা হবে? মুখ খুললেন ‘সূর্য’ দিব্যজ্যোতি
চলতি বছরের বিবাহবার্ষিকীর আগেই ৩১ জানুয়ারি দম্পতি পাড়ি দিয়েছেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে। স্বামী নীলাঞ্জনকে নিয়ে ভালোবাসামাখা পোস্ট ইমন লিখেছেন, ‘আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তোমার রেকর্ডিং স্টুডিওতে। পাত্তা দাওনি। ভালোই করেছিলে। গান গেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। ২৬ সেপ্টেম্বর, তোমার মনে নেই দিল্লি এয়ারপোর্টে আমাদের দেখা হয়েছিল। তারপর গান পাঠানোর পর্ব। তারপর শ্যুটিং। সেইদিনো পাত্তা দাওনি। বেশ কিছুদিন পরে জাকির জির একটি শো দেখে কাউকে খুঁজে না পেয়ে তোমায় ফোন করেছিলাম। আর সেখান থেকেই শুরু…’
এরপর যোগ করেন, ‘সম্পূর্ণ আলাদা স্বভাবের দুটো মানুষ একসাথে পথ চলা শুরু করলো। আমি কিন্তু জানতাম এই লোকটাকে হাতছাড়া করা যাবে না। মা বাবাই আমার পরিবার আমার খুব কাছের কিছু মানুষ গুলো ছাড়া কেউই আমায় খুব একটা বোঝে না বা বুঝলে ভুলই বোঝে। তুমি বুঝেছো পাগলামিগুলোকে ভালোবেসেছো কিচ্ছু চাওনি , শুধু যত্ন করেছো… একবছর আগে আজকের দিনে পুরুত মশাইকে হেব্বি বার খাইয়ে ঠিক ১৫ মিনিটে বিয়ে সেরে আমায় খুব জোর বাঁচিয়েছিলে।’