সকলের পক্ষে হয়তো সবসময় পথে নেমে প্রতিবাদ করা সম্ভব হয় না। তবে বাংলার মানুষ আরজি কর-কাণ্ডের পর দেখিয়েছে প্রতিবাদের ভাষা কতরকম হতে পারে। কোনো রাজনৈতিক দল না, অরাজনৈতিকভাবে এত মানুষের জমায়েত, এত মিছিল হয়তো আগে দেখেনি শহর কলকাতা। এরই মাঝে সোশ্যাল ভাইরাল একটি ছবি। যা হল একটি চায়ের দোকানের বাইরে ঝোলানো একটি বার্তা।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছেন টলিউডের পরিচালক প্রতীম ডি. গুপ্তা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চায়ের দোকানের বাইরে একটি বোর্ডে লেখা আছে, ‘চা খেতে খেতে ভুলে যাবেন না, তিলোত্তমা বিচার পায়নি’। এরপর লেখা, ‘আজ ৩০ দিন’। দেখা যাচ্ছে ছোট্ট খোপ মতো করা হয়েছে সেই হোয়াইট বোর্ডে। যেখানে দিনের সংখ্যা আপডেট করা যাবে নিত্যদিন। এই ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘ভুলে যাবেন না।’
আরও পড়ুন: দীপিকার মা হওয়ার মাঝেই ‘সিংঘম এগেইন’-এর ক্লাইম্যাক্সে বড় বদল আনলেন রোহিত শেট্টি
প্রতীমের এই পোস্ট শেয়ার করেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তীও। তিনি হাত জোড়ের ইমোটিকন দিয়ে লিখলেন, ‘অসাধারণ’।
আরজি কর নিয়ে এর আগেও সরব হতে দেখা গিয়েছে ইমন চক্রবর্তীকে। সেরকমই আবার অপর্ণা সেন থেকে মিমি চক্রবর্তী বা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তাঁদের উপরে ওঠা ‘গো ব্যাক’ স্লোগানেরও বিরোধিতা করেছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অপর্ণা সেন থেকে শুরু করে ঋতুদি, তাঁদের সঙ্গে যে অমানবিক ব্যবহার হয়েছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। একজন মহিলার জন্য বিচার চাইতে গিয়ে সেই যদি আরেক মহিলার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা কীসের জন্য লড়াই করছি? আরজি কর কাণ্ডের নৃশংস ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ সব সময় জানিয়েছি, বিচার আমরা প্রত্যেকেই চাই। হয়তো সবাই খুব বিরক্ত। তাবলে শুধু শিল্পীরাই সবসময় সফট টার্গেট হবে কেন?’
এমনকী, একটি পৃথক পোস্টের মাধ্যমে সোমবার ৯ তারিখ রাত ৯টা বেজে ৯মিনিটে ‘আমরা থমকাবো, থমকাবে রাজ্য’ কর্মসূচীর একটি পোস্টারও তিনি শেয়ার করেছেন। তিনি হয়তো নিজেও থাকতে পারেন লিলুয়াতে।
৯ তারিখ সকালেই আরজি করের ৩১ বছরের তরুণী মৃত্যুর খবর প্রথম সামনে আসে। তবে ওটা ছিল অগস্ট মাস। আর আজ সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ। এখনও এই মামলায় সঞ্জয় ছাড়া কেউ গ্রেফতার হয়নি, যেখানে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে একাধিক মিলে অত্যাচার চালিয়েছে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের কথাও শোনা যাচ্ছে সিবিআইয়ের থেকে। এমনকী, পুলিশ ও প্রশাসনের উপরেও অভিযোগ, তাঁরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।