বিগত দু-দিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ইমন চক্রবর্তীর একটি ভিডিয়ো। সেখানে শ্রোতার হিন্দি গান শোনবার ‘জোরজুমুল’ নিয়ে রুখে দাঁড়ান ইমন। স্পষ্ট বলেন, বাংলার বদলে অন্য রাজ্যে এ কথা বললেন চুলের মুঠি ধরে বার করা দেওয়া হত। ইমনের সেই ভিডিয়ো নিমেষে ভাইরাল হয়। গায়িকার সাহসকে কুর্নিশ জানান বাংলা গানের জগতের মানুষজন থেকে সাধারণ শ্রোতা-দর্শকরা। সকলেই জানায়, ‘মেয়েটার ধক আছে’। আরও পড়ুন-রাহার কাছে ফেরার তাড়া! বিলাসবহুল গাড়ি ছেড়ে অটো ধরলেন আলিয়া,দেখুন ভিডিয়ো
কেউ কেউ অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ইমনকে। বলেছেন, সবটাই ভাইরাল হওয়ার প্রেচেষ্টা, অনেকে এমনও বলেছেন গায়িকা থেকে নাকি নেত্রী হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন ইমন। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের চাঁচাছোলা ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ খ্যাত গায়িকা। নিজের মন্তব্যে এদিনও অনড় তিনি।
মঞ্চ থেকেই ইমন চক্রবর্তী সেদিন বলেছিলেন, 'সাহসের সঙ্গে, জোরের সঙ্গে যদি তুমি বল আমি বাংলা গান শুনবো না। অন্য কোন জায়গা হলে চুলের মুঠি ধরে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দিত।' সেই প্রেক্ষিতে এদিন ফেসবুকে ইমন লেখেন, 'গত দু'দিন ধরে TCS-এ শোয়ের ঘটনাতে আমার বলা একটি ঘটনা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। বহু মানুষ শেয়ার করেছেন দেখছি। আমি ফেসবুকে ছিলাম না বহুদিন, আমার টিম ম্যানেজ করতেন। কিন্তু আমি কাল ডাউনলোড করে দেখে অভিভূত যে আমি হয়তো বহু মানুষেরই মনের কথা বলতে পেরেছি জোর গলায়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বহু সিনিয়রস্ ও জুনিয়রস্-রা শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাদের।
অনেকে বলছেন আমি নাকি ভোটে দাঁড়ানোর জন্য বলেছি। আবার অনেকে বলছেন ‘আপনি যখন হিন্দি গান করেন, তার বেলায়?’ অনেকে বলছেন ‘হিন্দি গান করতে বলাটা দোষের কিছু নয়।’ আমি শুধু দু'দিন ধরে সব দেখেই গেছি, এবার কিছু কথা একটু বলি…'
আমি মহান হওয়ার জন্য এই কথাটা বলিনি। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ, খেটে খাই। স্টেজে উঠে পারফর্ম করি, বা রেকর্ডিং স্টুডিও-তে গিয়ে গান গাই বা স্টুডিওতে শ্যুট করি। সবটা ঘিরেই গান, ওটাই পারি আমি। তাই ওটাই করি... সঙ্গীত আমার কাছে সব, মানে সব। সব ধরণের গান গাইবার ইচ্ছে আমার বহুদিনের। আমি কোথাও কখনও কাউকে বলিনি যে আমি শুধু বাংলা ভাষায় গান গাইবো। কিন্তু আমাকে আমার এই জায়গা দিয়েছেন আপামর বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষরা।'
ইমন আরও যোগ করেন, ‘আমি বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করা একটা মেয়ে, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারা একটা মেয়ে। এখানে আমার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন থাকেন। আমার গোটা পৃথিবী এখানে থাকেন। কোথাও কেউ কোনোভাবে আমার ভাষাকে ছোট করে কথা বললে আমি আবার ওই একই কথা বলব, একইভাবে প্রতিবাদ করব। তাতে কেউ যদি ভাবেন যে আমার স্বার্থ এতে চরিতার্থ হচ্ছে তাহলে সেটা তাদের ভাবনা, আমার না। সব ভাষার সমান গুরুত্ব আছে অবশ্যই। আমার মাকে যেমন খারাপ বলার অধিকার কেউ দেয়নি। ঠিক সেইভাবে আমার ভাষাকে ছোট করার অধিকারও কেউ কাউকে দেয়নি।’