করোনা সংকট তো রয়েইছে, তার উপর আমফানের ধাক্কা কাটিয়ে উঠবার আগেই বাংলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ইয়াস। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে হাজার হাজার মানুষ। চারিদিকে রক্ত সংকট, মিলছে না রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় হাসপাতালের বেড থেকে ওষুধ। এই পরিস্থিতিতে নিজের মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন টলি তারকারা। পিছিয়ে নেই ইমন চক্রবর্তীও। এই তো সেদিন নিজে রক্তদান করলেন। দুদিন আগেই হিঙ্গলগঞ্জের প্রায় ১৬০০ মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়ে এলেন নিজের হাতে। সেই ছবি ও ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে পোস্ট করেন ইমন। সকলকে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। আর বিপত্তি সেই পোস্ট ঘিরেই।
ইমনের এই উদ্যোগের যেমন প্রশংসা করেছেন অনুরাগী থেকে সহ-শিল্পীরা। তেমনই কুরুচিকর ট্রোলিংয়ের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। অনেকেই বলেছেন, ‘ত্রাণের নামে নিজের প্রচার চালাচ্ছেন ইমন’, কেউ কেউ কমেন্ট বক্সে ভোটে দাঁড়ানোর পরামর্শ পর্যন্ত দিয়েছেন। ধেয়ে এসেছে ব্যক্তিগত আক্রমণও, গোটা বিষয় নিয়ে এবার প্রতিবাদে সরব হলেন ইমন।
ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট লিখে নিন্দুকদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন। ইমন লেখেন- ‘আমি একজন সংগীতশিল্পী। গত ১ বছর ধরে হাতে গুনে ১০টা শো করেছি। আমার মতো সব শিল্পীর প্রায় একই অবস্থা। তা ঠিক আছে। চলে যাচ্ছে। তা, এই যো বিভিন্ন জায়াগায় গিয়ে ‘ত্রাণ’ দেওয়ার ছবি ভিডিয়ো দেখে যাদের মনে হচ্ছে যে নিজের প্রচার করছি বা ভোটে দাঁড়ানোর কাজকর্ম শুরু করছি…বা যারা প্রত্যেক মুহূর্তে অশালীন কথা বলে চলেছেন তাদের একটা কথা বলি.. আপনাদের প্রত্যেকটা খারাপ কথা কিন্তু আমাকে এগিয়ে নিয়েই যাচ্ছে। আমি কিন্তু পিছিয়ে যাচ্ছি না। আর যাবও না। অনেক ধন্যবাদ যারা যারা আমার অ্যাডভার্টাইজ়মেন্ট দেখে ডোনেট করছেন…আপনাদের জন্য প্রায় তিন হাজার মানুষ খেতে পেয়েছেন, এক বেলা হলেও। ভাল রাখাটা একটা আর্ট। ওটা সবাই পারে না। আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদের যাঁরা আমার পাশে আছেন। ধন্যবাদ। ইমন।’
ইমনের এই প্রতিবাদী সত্ত্বার প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। পরিচালক অরিন্দম শীলও কমেন্ট বক্সে বাহবা জানিয়েছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই শি্ল্পীকে। তিনি লেখেন- এটাই আসল স্পিরিট।আসলে মানুষের জন্যে প্রকৃত সাহায্য করাটা সহজ ভাবে নিতে যারা পারে না, তারা অসুস্থ। তাদের কথায় কান দিও না। এগিয়ে চলো'।