আচমকাই 'রেগে আগুন' ইমন চক্রবর্তী। তাও আবার ‘সেই কাকু-কাকিমা’দের উপর। ক্ষোভ উগরে ভিডিয়ো দিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা। ব্যাপারটা কী? ট্রেনে যাত্রা করছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। বিমানের চেয়ে ট্রেন জার্নি অধিক পছন্দ করেন ইমন। আগেও বহুবার সেকথা জানিয়েছেন তিনি। ট্রেনের জানালা দিয়ে প্রকৃতি দেখতে দেখতে লং জার্নি কার না ভালো লাগে? আরও পড়ুন-শীতের রাতে অরিজিতের জিয়াগঞ্জের বাড়িতে হাজির অনুপম! বাউন্ডুলে ঘুড়ির পর এবার…
কিন্তু সেই যাত্রার স্বাদ মাটি করে দেন কিছু কাকু-কাকিমা। তাঁদের উপরেই রেগে কাঁই ইমন। আসলে নিজের স্মার্ট ফোনে জোরে জোরে সিরিয়াল, কিংবা খবর শুনতে শুনতে জার্নি করেন যাঁরা, তাদের উদ্দেশ্যেই এই বার্তা ইমনের। নিজের পাশাপাশি গোটা পৃথিবীর লোককে শোনানোর কী দরকার! প্রশ্ন ইমনের।
বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। ভিডিয়ো বার্তায় ফিসফিস করে কথা বলতে শোনা গে ইমনকে। ইমনের এই কথাগুলো অনেকেরই মনের কথা। হেডফোন না লাগিয়ে কেন তাঁরা তারস্বরে সিরিয়াল বা খবর চালান তা বুঝতে না পেরেই তিতিবিরক্ত গায়িকা। অফ হোয়াইট সোয়েটারের উপর আসমানি নীল জ্যাকেটে ইমন। চোখে কালো সানগ্লাস। ইমনকে বলতে শোনা গেল- ‘ট্রেনে চড়তে আমি ভীষণ ভালোবাসি, কিন্তু আশেপাশে কিছু কাকু-কাকিমা থাকে, দেখেছি… তারা কখনও খবর শুনছে, কখনও গান শুনছে, কখনও সিরিয়াল দেখছে…. কিন্তু শুধু নিজেরা দেখছে না বা শুনছে না। সবাইকে শোনাচ্ছে, আই জাস্ট হেট দেম’। ক্যাপশনে যোগ করেন, ‘আমি ঘৃণা করি, সেই কাকু কাকিমাদের… উফ! অসহ্য’।
ইমনের সঙ্গে সহমত তাঁর ফলোয়ার্সদের একটা বড় অংশ। একজন লেখেন, ‘সমাজ দূষণকারী কাকু-কাকিমা, এরাই একজনের কথা অন্য কারও কানে দিয়ে চলে আসে।’ অনেকে সেই সব কাকু-কাকিমাদের ‘হেডফোন’ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তবে এর বাইরে নজর কাড়ল আরও একটি কমেন্ট। সেখানে এক নেটিজেন ইমনকে তাঁর মুখের বেহাল দশার জন্য খানিক কটাক্ষের সুরেই নিমপাতা ও উচ্ছে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আপাতত সোশ্যালে ট্রেন্ডিং ইমনের নতুন গান ‘কী একখান গান বানাইসে’। যশ-নুসরতের ছবি ‘সেন্টি-মেন্টাল’ (আগের নাম ছিল মেন্টাল)-এর এই গানে মিকা সিং-এর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন ইমন। অন্যদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাশোসিয়েশনের তরফে সেরা গায়িকার পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন ইমন। ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবির আলাদা-আলাদা গানের জন্য এই সম্মান এসেছে ইমনের ঝুলিতে।