বিতর্ক আর শ্রাবন্তী যেন হাত ধরাধরি করেই চলে! নতুন করে সংবাদ শিরোনামে এই টলি নায়িকা। নেপথ্যে জিমের নামে লোকজনকে ঠকিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মধ্যমগ্রামের স্টার মলে একটি জিমখানা খুলেছিলেন অভিনেত্রী, সেই সাধের জিম ঘিরেই নতুন বিতর্কে শ্রাবন্তী।
গোটা বছরের সাবস্ক্রিপশন বাবদ মোটা টাকা জিম ট্রেনিদের থেকে নিয়ে, হঠাৎ করেই তালাবন্ধ হয়েছে জিম। তাই পুলিশে নালিশ ঠুকেছে প্রতারিতরা। জিমের সঙ্গে শ্রাবন্তীর নাম জড়িয়ে থাকায় নায়িকাকে কাঠগড়ায় তুলতে ছাড়ছেন না কেউই। গোটা বিতর্ক নিয়ে দায় ঝেড়ে ফেললেন শ্রাবন্তী, পালটা নিজেকেই ‘ভিক্টিম’ বলছেন নায়িকা।
এই জিমের সঙ্গে নাকি তাঁর বহুদিন যোগাযোগ নেই, তিনি এই জিমের সঙ্গে যুক্ত নন! এমন কথা বলেই দায় ঝারলেন শ্রাবন্তী। এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী বলেন,'দীর্ঘদিন আমি এই জিমের সঙ্গে যুক্ত নই। এটা ঠিক যখন খোলা হয়েছিল আমি ছিলাম। তবে অনেকদিন হল কোনও যোগাযোগ নেই আমার, কোনও আর্থিক লেনদেনও কেউ দেখাতে পারবে না'।
এরপর দুঃখপ্রকাশ করে শ্রাবন্তী জানান তাঁকে নিয়ে চর্চা করে সকলে মজা পায়। তাঁর কথায়, ‘হয়তো আমাকে নিয়ে চর্চা করলে ভিউ বেশি আসে বলে করে। কিন্তু সবাই ভুলে যায় দিনের শেষে আমিও একটা মেয়ে। আমার সন্তান রয়েছে। আমার পরিবার আছে। এই ঘটনায় আমি খুব বিরক্ত’।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে পথচলা শুরু হয়েছিল ‘দ্য ফিটনেস এম্পায়ার’ নামক সেই জিমের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারও সেরেছিলেন শ্রাবন্তী। উদ্বোধনের দিন হাজির ছিলেন নিজে। জানা যায়, আনোয়ার, অভিষেক, সৌম্য নামের তিন ব্যক্তির সঙ্গে এই জিম খুলেছিলেন শ্রাবন্তী। যদিও শ্রাবন্তী বাদে অপর কারুর নাম নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে না সোশ্যাল মিডিয়ায়, তারকা হওয়ার এমন খেসারত দিতে হচ্ছে বলে বেজায় বিরক্ত শ্রাবন্তী।
চলতি বছরের শুরুর দিকেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অফার দেওয়া হয়েছিল জিমের অ্যাডমিনদের তরফে। ১৮,০০০ টাকায় সারা বছরের সাবস্ক্রিপশন। একদফা সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে মিলেছিল অ্যাডমিশন। এখানেই শেষ নয়, জিমে যোগ দেওয়ার পর পার্সোনাল ট্রেনারের ফি বাবদ আরও চার হাজার টাকা চোকাতে হয়েছিল। ভর্তির পর হোলির ছুটি, তারপরই হঠাৎ করে জিম বন্ধ হয়ে যায়। শেষমেশ মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে জিম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতারিত জিম ট্রেনিদের দাবি, শ্রাবন্তীর কথা শুনেই তাঁরা এই জিমে অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন, এইভাবে ঠকতে হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। কীভাবে টাকা ফিরত পাওয়া যাবে সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে প্রতারিত জিম ট্রেনিদের।