কলকাতায় যেমন দুর্গাপুজো, ঠিকই তেমন মুম্বই-এ প্রতিবছরই ধূমধাম করে হয় গণপতির আরাধনা। মুম্বইয়ের সর্বজনীন দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল লালবাগচা রাজা। টানা ১০ দিন ধরে চলা গণেশ চতুর্থী উৎসবের সময় প্রায় প্রতিদিন সেখানে ১.৫ মিলিয়ন ভক্তের সমাগম হয়। এক্ষেত্রে লালবাগচা রাজা সর্বজনীন যেটি কিনা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। তবে লালবাগচা রাজা দর্শনের জন্য প্রতিদিন এত মানুষের ভিড় হয়, যে সেখানে ঢুকতে হিমশিম খেতে হয় প্রায় সকলকেই।
তবে আবার এই মন্দিরে ঢোকার জন্য VIP গেটও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা সাম্প্রতিক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে লালবাগচা রাজা দর্শনে যেখানে সাধারণ ভক্তরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ধাক্কাধাক্কি করছেন। এমনকি কখনও আবার লালবাগচা রাজার দর্শন পাওয়ার জন্য ১২ ঘণ্টাও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কখনও আবার ভিড় সামলাতে গিয়ে কর্মীরা গায়ে হাত তুলতেও ছাড়েন না। অবাক হচ্ছেন তো? তবে এটাই বাস্তব।
এদিকে আবার ঠিক সেখানেই ভিআইপিরা আইকনিক মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, তাও আবার কোনও তাড়াহুড়ো ছাড়াই।
কেন এই বৈষম্য?
সম্প্রতি এই লালবাগচা রাজা দর্শনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আম-জনতার ঠেলাঠেলির একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান, ধনকুবের হর্ষ গোয়েঙ্কা। সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কখনও ভেবে দেখেছেন কেন অনেক লোকজন লালবাউগচা রাজা-র জন্য ভিআইপি দর্শন বেছে নেন? এর কারণ সাধারণ ভক্তরা প্রায়শই দীর্ঘ অপেক্ষা এবং ভিড়ের মুখোমুখি হন। এটা অসম আচরণকেই তুলে ধরে। বিশ্বাস কি সবার জন্য সমান হওয়া উচিত নয়?’ অর্থাৎ কেন এই বৈষম্য, সেই প্রশ্নই তুলেছেন হর্ষ গোয়েঙ্কা।
কমেন্ট সেকশনে অনেকেই গোয়েঙ্কার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত লালবাগচা রাজার দর্শন করিনি। তবে এটা দেখে খারাপ লাগছে, যে ভক্তরা দীর্ঘ লাইনে ধাক্কা-ধাক্কি করছেন। শুধু এক ঝলক দেখা পাওয়ার জন্য। এদিকে ভিআইপিরা লাইন ভেঙে সেখানে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন।’
আরেকজনের অভিমত, মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের ঘোষণা করা উচিত ‘ভিআইপি অনলি’। সাধারণ মানুষ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই মাইক্রো সেকেন্ডের দর্শনের জন্য কত কষ্ট করেন। তাঁদের নিষ্ঠা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই।'