চলে গেলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খান। ররিবার দুপুরে মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনেই মৃত্যু হয় কিংবদন্তীর, বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর পুত্রবধূ নম্রতা গুপ্তা খান সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান আজ দুপুর ১২.৩৭ নাগাদ মৃত্যু হয়েছে শিল্পীর। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে উনি সুস্থই ছিলেন।আমাদের বাড়িতে ২৪ ঘন্টার জন্য একজন নার্স থাকেন, থেরাপি চলবার সময় উনি বমি করেন, আমি ছুটে যাই..চিকিত্সক আসার পর ওঁনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন’।
মার্চ মাসেই ৯০-এ পা দেওয়ার কথা ছিল বর্ষীয়ান শিল্পীর, তেমন কোনও শারীরিক সমস্যাও ছিল না.. ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের আচমকা চলে যাওয়ার খবরে শোকস্তব্ধ পরিবার। এদিন সান্তাক্রুজ কবরস্থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
১৯৩১ সালের ৩-রা মার্চ উত্তরপ্রদেশের বদাউনে জন্মে ছিলেন উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খান। রামপুর সাহাসন ঘরানার প্রতিষ্ঠানা ওস্তাদ ইনায়াত হুসেন খানের কন্যা সবরি বেগম ও ওস্তাদ মুরাগ বক্সের পুত্র ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খান। ছোট বয়স থেকেই সংগীতের পরিবেশেই মানুষ হয়েছেন তিনি। বাবাই ছিলেন গুলাম মুস্তাফা খানের প্রথম গুরু, পরবর্তীতে তুতো দাদা ওস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছেও তালিম নেন।
মৃণাল সেনের ভুবন সোম ছবির সঙ্গে হিন্দি সিনেমার জগতে পা রাখেন তিনি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের এই কিংবদন্তি শিল্পীকে ১৯৯১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৬ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার। ২০০৩ সালে সংগীত-নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খান।
লতা মঙ্গেশকর টুইট করেন, ‘উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খান আর নেই। শুনে খুবই দুঃখ হচ্ছে। উনি ভাল গায়ক তো ছিলেনই। তার সঙ্গে ভাল মানুষও ছিলেন’। পরে আরেকটি টুইট করে সুর সম্রাজ্ঞী জানান, তিনি নিজেও উস্তাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
এআর রহমান এদিন উস্তাদ গুলাম মুস্তাফার সঙ্গে নিজের এক যুগলবন্দির ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন- ‘সবচেয়ে মিষ্টি গুরু… গফুর-উর-রহিম আপনাকে অন্য দুনিয়াতে সবচেয়ে খাস জায়গা দিক এটাই দোয়া করি’।