বিতর্ক থামছে না সিঙ্গিং রিয়ালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলকে ঘিরে। সপ্তাহখানেক আগে এই শোয়ের মঞ্চে অতিথি বিচারক হিসাবে হাজির ছিলেন কিশোরপুত্র অমিত কুমার। সেখানে প্রতিযোগিদের ‘মিথ্যা প্রশংসা’ করতে বলা হয়েছিল বলে পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন অমিত। কিশোর কুমারের প্রতি প্রতিযোগিদের শ্রদ্ধা নিবেদন একেবারেই পছন্দ হয়নি তাঁর, বরং খারাপ গায়েকির জেরে মাঝপথে শো বন্ধ করে দেওয়ার ভাবনাও এসেছিল তাঁর মনে বলেন অমিত কুমার।
শো-এর নতুন প্রোমোতে দেখা গেল অমিত কুমারের নাম না নিয়েই তাঁকে কটাক্ষ করলেন হোস্ট আদিত্য নারায়ণ। চলতি সপ্তাহন্তে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে অতিথি হিসাবে হাজির থাকছেন নব্বইয়ের সুপারহিট তিন সিঙ্গার, কুমার শানু, রূপকুমার রাঠোর এবং অনুরাধা পাড়োয়াল। তিন অতিথিকে আদিত্য সটান প্রশ্ন করেন, তাঁদের কী সত্যি শো ভালো লেগেছে?
‘শো শেষ হওয়ার আগে আমি একটা খুব জরুরি প্রশ্ন রাখতে চাই কুমার শানু জি, রূপকুমারজি এবং অনুরাধাজি-র কাছে। স্যার, আপনারা যেভাবে আমাদের প্রতিযোগিদের প্রশংসা করলেন আজকে সেটা মন থেকে না কেউ আমাদের টিমের তরফে আপনাদের মিথ্যা প্রশংসা করবার কথা বলেছে?’ আদিত্যর মুখে এই প্রশ্ন শুনে প্রতিযোগিরা হাসতে হাসতে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে শুরু করে।
বিষয়টি বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি কুমার শানুরও। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তিনি বলেন উঠেন, ‘মন-প্রাণ’ দিয়ে প্রতিযোগিদের প্রশংসা করেছেন তিনি। মেলোডি কিং কুমার শানু আরও যোগ করেন, ‘নয় জন প্রতিযোগিই এক একটা রত্ন। প্রত্যেকেই আসল সিঙ্গার। খুব ভালো গান গায়… আমরা যা জাজমেন্ট দিয়েছি, সেটা মন থেকে দিয়েছি, আর এটা নিয়ে কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই'।
এই শো-এর চর্চিত বিচারক হিমেশ রেশমিয়াকেও করোনাকালে একে অপরের প্রতি আরও একটু সহৃদয় হওয়ার কথা বলেন। জানান, আমাদের উচিত একে অপরের হিম্মত মজবুত করবার। কাউকে টেনে নীচে নামিয়ে আনায় মহত্ত্ব লুকিয়ে নেই মত হিমেশের।
এই সপ্তাহে প্রয়াত সংগীত শিল্পী শ্রবণ রাঠোরকে ট্রিবিউট দিচ্ছে টিম ইন্ডিয়ান আইডল। উল্লেখ্য, অমিত কুমার জানান, শুধুমাত্র টাকার জন্যই ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এই রিয়ালিটি শো-য়ে আগে থেকে কোনও স্ক্রিপ্ট তাঁকে দেওয়া হয়নি। তবে পৌঁছানোর পর, সব প্রতিযোগির প্রশংসা করতে বলা হয়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে অমিত কুমার জানিয়ে ছিলেন, ‘আমি সেটাই করেছি যা আমাকে করতে বলা হয়েছিল। সকলকে প্রশংসা করতে হবে এমনটা জানানো হয়েছিল। যে যেরকমই গান গেয়ে থাকুক সকলকে ভালো বলতে হবে, কারণ এটা কিশোরদাকে ট্রিবিউট। আমি ভেবেছিলাম এটা আমার প্রয়াত বাবার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ হতে চলেছে। সেখানে গিয়ে তাঁদের কথাই মেনে চলতে হবে। আগে থেকে স্ক্রিপ্ট চেয়েছিলাম, তবে তেমনটা ঘটেনি’।