অবশেষে! শেষ হলো ৮ মাসের 'যুদ্ধ'। গত রবিবার অর্থাৎ ১৫ অগস্ট টানটান গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বের একেবারে শেষে মধ্যরাতে ঘোষণা হলো ইন্ডিয়ান আইডলের বিজয়ীর নাম। খেতাবের অন্যতম প্রধান দাবীদার পবনদীপ রাজন-এর হাতেই উঠল বিজয়ীর ট্রফি। 'সেরার মুকুট' পরার পাশাপাশি ঝুলিতে পুরলেন ২৫ লক্ষ টাকাও। সেই সঙ্গে একটি গাড়ির চাবিও তুলে দেওয়া হয় পবনদীপের হাতে।এত মাসের সুরের লড়াইয়ের পর ছেলের হাতে ইন্ডিয়ান আইডলের বিজয়ীর ট্রফি উঠতে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেননি পবনদীপ রাজনের মা। আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা খোদ জানালেন পবনদীপ। আরও জানালেন তাঁর কাছে কেমন ছিল চলতি বছরে ইন্ডিয়ান আইডল-এর এই মঞ্চে সেরার সেরা হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করার মুহূর্ত। ছোট্ট করে পবনদ্বীপ জানালেন এই ঘটনার সাক্ষী হতে সুদূর উত্তরাখন্ড থেকে উড়ে এসেছিলেন তাঁর মা। সঙ্গে ছিলেন পবনদীপের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব। তাঁরা যে সবাই দারুণ খুশি নিজেদের ঘরের ছেলের এই সাফল্যে তা জানানোর পাশাপাশি পবনদীপ আরও বলেন যে তিনি যখন আলো ঝলমলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজয়ীর ট্রফি হাতে তুলছেন, আবেগে ভেসে গেছিলেন তাঁর মা। চোখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল আনন্দের অশ্রু।
কথায় কথায় ইন্ডিয়ান আইডল ১২ এর বিজয়ীর মুখে আরও জানা গেল যে মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়ে তাঁর যে খুব একটা ভালো লেগেছে এমনটা মোটেও নয়। বরং মনটা একটু ভার হয়েই গেছিল। কারণ হিসেবে পবনদীপ জানিয়েছেন তিনি ছাড়াও এই শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালের বাকি প্রতিযোগী অরুণিতা কাঞ্জিলাল, সন্মুখাপ্রিয়া, নীহাল তাউড়া, মহম্মদ দানিশ এবং সায়লি কাম্বলে-রা সকলেই দুর্দান্ত। তাঁরাও সমানভাবে এই খেতাব জয়ের দাবিদার ছিলেন। সবথেকে বড় কথা গানের লড়াইয়ের বাইরে বর্তমানে তাঁরা সবাই একটা পরিবারে পরিণত হয়েছে। তাই নিজে বিজয়ীর ট্রফি হাতে তুললেও বাকিদের জন্য বেশ খারাপই লাগছিল তাঁর।
নিজের বক্তব্য শেষে দৃঢ় গলায় পবনদীপ জানিয়েছেন তিনি যে রাজ্য থেকে আসছেন সেই উত্তরাখণ্ডের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধের নয়। তাই সেখানকার মানুষদের জন্য কিছু করত চান তিনি। এছাড়াও সেখানে একটি মিউজিক স্কুল খুলতে চান তিনি যেখানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অথচ প্রতিভাধর ছেলেমেয়েরা সমান সুযোগ পাবে বাকিদের মতোই।