গত সিজনের মতো চলতিবারও ইন্ডিয়ান আইডলের স্টেজে বাংলার গায়ক-গায়িকারা ঝড় তুলছেন। চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়ান আইডল টপ ১৫-র বাছাই করতে গিয়ে মহাফ্যাঁসাদে বিচারকরা। কাকে ছেড়ে কাকে বাছবেন, এখন সেই অগ্নিপরীক্ষা শ্রেয়া, বিশাল, নীতির! হ্যাঁ, এই সপ্তাহে বাদশার পরিবর্তে অতিথি বিচারক হিসাবে রয়েছেন নীতি মোহন। আরও পড়ুন-স্বপ্নপূরণের নেশায় পানের দোকান ফেলে ইন্ডিয়ান আইডলে বাংলার শুভজিৎ! হৃদমাঝারে-দাগাবাজের ম্যাশাপে মুগ্ধ বিচারকরা
অডিশন পর্বেই বাংলার ‘পানওয়ালা’ শুভজিৎ চক্রবর্তীর সুরের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিল ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকরা। থিয়েটার গালা রাউন্ডেও নিরাশ করলেন না শুভজিৎ, বরং তাঁর গান শুনে শ্রেয়া ঘোষালের চোখের জল বাধ মানল না। হাউ হাউ করে কেঁদেই ফেললেন শ্রেয়া। এর আগে সুপার সিঙ্গার সিজন ৩-র মঞ্চে সাড়া ফেলেছিলেন এই পানওয়ালা।
ফের একবার রাহাত ফতে আলি খানের গান গাইরল শুভজিৎ, একই সঙ্গে বাংলার ফোক গান উঠে এল তাঁর দরদ ভরা কণ্ঠে। যুবরাজ ছবির ‘সুরিলি আঁখিওয়ালে….’ গান দিয়ে এদিনের পারফরম্যান্স শুরু করে শুভজিৎ। এদিন প্রিয় বাদ্যযন্ত্র খমকও সঙ্গে ছিল না তাঁর, শুধু মাত্র কণ্ঠের জাদুতেই সকলকে আচ্ছন্ন করল খড়গপুরের ছেলে।
শুভজিৎ এরপর যখন অন্তরা গাইতে গাইতে ঢুকে পড়লেন ‘আমায় ডুবাইলি রে, আমায় ভাসাইলি রে….’ তখন আর স্থির থাকতে পারেননি শ্রেয়া-বিশালরা। শুভজিতের সুর সাগরে ডুব দিয়ে নাচতে শুরু করেন তাঁরা। বিশালকে জড়িয়ে ধরেন শ্রেয়া, তাঁর চোখ দিয়ে তখন জল গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম। মঞ্চে গিয়ে শুভজিতের হাতে সেরা ১৫-র মাইক তুলে দেন শ্রেয়া। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি এই গানের নেশা থেকে বার হতেই চাই না….চাই না এই সম্মোহন শেষ হোক’।
আরও পডুন-‘কুমার শানু শুনলে লজ্জা পাবেন’, মঞ্চে জানের গান শুনে কটাক্ষ, বাবার সঙ্গে চলল তুলনা!
খড়গপুর অঞ্চলের এক পান বিক্রেতা শুভজিৎ, সঙ্গীত তাঁর ধমনীতে বইছে। বাবা হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করে ফেরেন পথে পথে। বাবাকে স্কুটার কিনে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়েই আইডলের মঞ্চে গিয়েছে সে। অডিশন পর্বেই ‘দগাবাজ’ গেয়ে সবার মন জিতে নিয়েছিল শুভজিৎ, সেই মুগ্ধতা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল শনিবারের পারফরম্যান্স শেষে। সেরা ১৫-য় জায়গা পাওয়াটা শুভজিতের কাছেও স্বপ্নের মতো। বিচারকদের পর গোটা ইন্ডিয়ার হৃদমাঝারে জায়গা করে নিতে সফল হবেন শুভজিৎ? সেটাই এখন দেখবার।