চলতি সিজনে ইন্ডিয়ান আইডল কম আর সেটি ‘বাঙালি আইডল’ বেশি! কারণ সেরা ১৫-তে জায়গা পাকা করেছে ৮জন বাঙালি। যার মধ্যে ৭জনই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সেই নিয়ে অনেকেই দাবি তুলেছিলেন বাংলার প্রতি পক্ষপাতিত্বের। অনেকে ট্রোল করে বলেছিলেন, শ্রেয়া ঘোষাল বাঙালি বলেই নাকি চলতি বছর ইন্ডিয়ান আইডলে বাঙালিদের রমরমা। আরও পড়ুন-জনাইয়ের বিশ্বরূপ থেকে খড়গপুরের শুভজিৎ, আইডলের সেরা ১৫-র তালিকায় ৮ বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী!
সেরা ১৫-র নির্বাচনের দিন বিচারকের আসনে ছিলেন না বাদশা। মূল পর্ব শুরু হতেই চমক নিয়ে ফেরেন ব়্যাপার। বাদশার কথায় ইন্ডিয়ান আইডলে সেরা ১৫ নয়, সোরা ১৬-র টক্কর জমে এই সিজনে। মরাঠি কন্যে রাগিনী শিন্ডেকে মূল পর্বে স্থান করে দেন বাদশা। তাঁর সিদ্ধান্ত মেনেও নেন অপর দুই বিচারক শ্রেয়া ঘোষাল এবং বিশাল দাদলানি। এবার সেই নিয়ে নতুন করে জলঘোলা।
রাগিনী শিন্ডের সিলেকশন নিয়ে অনেক বাঙালিই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরূপ মত পোষণ করেছেন। এক জনৈক ফেসবুকে লেখেন, 'এই সিজনেও দেখলাম একজন মারাঠি বাচ্চা মেয়ে, সে ভাল গায় সন্দেহ নেই, কিন্তু হঠাৎ তাকে নিয়ে আসা হল থিয়েটার রাউণ্ড থেকে এলিমিনেশনের পরেও। মেয়েটাকে আরো তৈরী হবার সময় দেওয়া যেত। বাদশার নাম করে আনা হল, আসলে এখানে উপরের লোক যা করে, জাজের নাম দিয়েই চালায়।
শ্রেয়া ঘোষাল নিজেই থিয়েটার রাউন্ডে মেয়েটাকে বলেছিলেন আরো তৈরী হয়ে আসতে কিন্তু তাহার পরেই কী থেকে কী হয়ে গেল। এতে কি শ্রেয়াকেও ছোট করা হল না?….এবার এতজন বাঙালির সিলেকশন হয়েছে, অনেকেই সহ্য করতে পারছে না আর কী। একমাত্র বাঙালিদেরই দেখলাম 'কিছুতেই প্রাদেশিক হওয়া যাবে না' টাইপ অ্যাটিচিউড নিয়ে থাকতে।'
অভিজ্ঞতায় ইন্ডিয়ান আইডলের সেরা ১৫-র অনেকের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও রাগিনীর সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ বিচারকরা। চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়ান আইডলে গরহাজির শ্রেয়া। বদলে অতিথি বিচারক হিসাবে হাজির হয়েছেন সুভাষ ঘাই। এই সপ্তাহে ‘পালকি মে হোকে সওয়ার চলিরে’ গান গেয়ে সবার মন জিতবেন রাগিনী। বিশাল দাদলানি স্পষ্ট বলেন, ‘তোমাকে আমরা সেরা ১৫-তে নিইনি। তবে সত্যি তুমি এই স্থানটার যোগ্য। এর জন্য আমরা বদশার কাছ ঋণী’। অভিজ্ঞ রিয়ালিটি শো প্রতিযোগিদের ভি়ড়ে এই তরুণী আগামিদিনে কী কারনামা করে দেখায়, সেটাই এখন দেখবার।