কার সঙ্গে যে কখন কার শেষ দেখা হয়ে যায় বলা যায় না। মানুষের মৃত্যু এতটাই অবশ্যম্ভাবী যে সেটা যেমন চাইলে এড়ানো যায় না তেমনই শেষবার আমরা যা বলতে চাই প্রিয় মানুষটাকে সেটাও আর বলা হয় না। আর এদিন যেন ইন্ডিয়ান আইডলের থিয়েটার রাউন্ডে সেই কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন কলকাতার রঞ্জিনী সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন : '৭ মাসের ছোট্ট কৃষভি তখন আমার মধ্যে …' সাধভক্ষণের ছবি পোস্ট শ্রীময়ীর, স্ত্রীকে জাপটে ধরে চুমু কাঞ্চনের
আরও পড়ুন : আন্দাজ আপনা আপনার ৩০ বছর! বক্স অফিসে ছবির ভরাডুবি নিয়ে আমির বলেন, 'কেউ তখন জানতই না যে...'
কী ঘটেছে ইন্ডিয়ান আইডল ১৫ তে?
এদিন কলকাতার মেয়ে রঞ্জিনী সেনগুপ্ত অডিশন রাউন্ডে সবাইকে তাক লাগানোর পর থিয়েটার রাউন্ডেও নিজের কামাল দেখান। গান মান যাও না গানটি। কখনও আশা ভোঁসলের মতো কখনও আবার কিশোর কুমারের মতো গেয়ে মুগ্ধ করে দেন বিচারকদের। তাঁর নিজের মতো করে গান গাওয়ার ধরন, এক্সপ্রেশনে আগের দিন থেকেই মুগ্ধ হয়ে ছিলেন শ্রেয়া এবং বিশাল। এদিন নীতি মোহনও ছিটকে যান ওঁর গান শুনে।
বিশাল দাদলানি বলেন, 'তুমি পুরোপুরি তারকাটা। কী করলে এটা! অবিশ্বাস্য! আমার ওভেশন দিতে কত সময় লাগল দেখ।' বলাই বাহুল্য এদিন কলকাতার মেয়েটি প্ল্যাটিনাম মাইক জিতে নেয়। কিন্তু তারপরই জানায় তাঁর জীবনের একটি ঘটনার কথা।
এদিন ফিজিক্সের বিষয়ে শ্রেয়া ঘোষাল তাঁকে প্রশ্ন করলে রঞ্জিনী জানান তিনি সম্প্রতি টাইম ট্রাভেল নিয়ে কিছু আর্টিকেল পড়েছেন। তারপর ব্যাখ্যা করে বলেন কোনও কণার গতি যদি আলোর গতির সমান হয় তাহলে টাইম ট্রাভেল করা যায়। সায়েন্সের দুনিয়ায় সব সম্ভব বলেই তাঁর বিশ্বাস। সেই কথা শুনে শ্রেয়া বলেন তিনি তাঁর ছোটবেলায় ফিরতে চান। উত্তরে রঞ্জিনীও বলেন তিনিও তাই। অতীতের একটি দিনে ফিরতে চান তিনি। ২০১৪ সালে যেদিন তাঁর বাবা মারা যান সেদিন তিনি সকালে বাবাকে দেখে কথা বলে স্কুলে যান। এসে দেখেন তাঁর বাবা আর নেই। তখন তাঁর মাত্র ১৪ বছর বয়স। সেই স্মৃতি হাতড়ে তিনি এদিন বলেন, 'মৃত্যু এমন একটা জিনিস যেটা কখনও আটকানো যায় না। কিন্তু আমি একবার বাবার কাছে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলতে চাই তোমায় ভালোবাসি। আমরা সবাই ছিলাম সেই লড়াইয়ে। আমরা এখনও লড়ছি অর্থনৈতিক, মানসিক সব ভাবে। আমরা তোমায় নিয়ে গর্বিত।' তিনি এদিন আরও বলেন যে তিনিও জানেন তাঁর বাবাও আজ তাঁকে নিয়ে গর্বিত।
আরও পড়ুন : পুরুষাঙ্গে কিলবিল করছে সাপ! জুনিয়র ডাক্তারদের আয়োজিত গ্যালারির আঁকা দেখে ছিছি নেটপাড়ায়
রঞ্জিনী জানান তাঁর বাবার মৃত্যু তাঁকে অনেক বড় করে দিয়েছে। সেই আঘাত তাঁকে লড়তে শিখিয়েছে। আজ বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো জীবন অন্যরকম হতো, সে এখানে থাকত না। রঞ্জিনীর কথায় কেঁদে ফেলেন শ্রেয়া ঘোষাল, বিশাল দাদলানি। নীতি মোহন উঠে এসে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন।
ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫ প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গত আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫। এই শোটি প্রতি শনিবার এবং রবিবার রাত ৯ টা থেকে সোনি চ্যানেলে দেখা যাবে। বিচারকের আসনে থাকবেন শ্রেয়া ঘোষাল, বাদশা এবং বিশাল দাদলানি।