চিনের উহান থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারণভাইরাস Covid-19। করোনাভাইরাসের বলি ইতিমধ্যেই পৃথিবীর ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। ভারতেও প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, এখন পর্যন্ত দেশের ৪১৫ মানুষ করোনা সংক্রমিত। এর মাঝেই ভারতে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন কিছু মানুষ। উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষ এই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন আগেই, এবার তালিকায় যুক্ত হল চিনা বংশোদ্ভূত ভারতীয় গায়ক মিয়াং চ্যাং। ইনস্টাগ্রামে চ্যাংকে করোনা বলে সম্বোধন করলেন একাধিক ইউজার। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি এইসব কমেন্ট শেয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিলেন গায়ক।
ইটিটাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাকারে চ্যাং জানান, 'ভারতে বর্ণবৈষম্য খুব সাধারণ বিষয়।রঙ,জাতের নামে হামেশাই মানুষ তার সম্মুখীন হয়'। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে যখন দেশজুড়ে অস্থির পরিস্থিতি তখন উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষজনকে করোনা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে এইধরণের বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষুদ্ধ মিয়াং।
আপতত মুম্বই লকডাউন, তবে দিনকয়েক আগে প্রকাশ্য রাস্তাতেও করোনা বলে সম্বোধন করা হয়েছে ইন্ডিয়ান আইডল সিজন থ্রি-র এই প্রতিযোগীকে। চ্যাং বলেন, আমি জগিং সেরে ফিরছিলাম কয়েকদিন আগে দুজন ছেলে বাইকে করে যাচ্ছিল, 'তাঁরা আমাকে দেখেই করোনা বলে চিত্কার করে উঠে, আমিও ভাবলাম তাদের গালিগালাজ করি কিন্তু তারপরই মনে হল এতে কোনও লাভ হবে না'।
ভারতে এর আগেও বহুবার বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়তে হয়েছেন মিয়াংকে। গায়ক জানান, 'আগেও অনেকেই আমাকে চাইনিজ বা নেপালি বলে লোকজন ডেকেছে। এটা ঘটেই থাকে। আমার বন্ধুরাও অনেক বার সেটা করেছে।কিন্তু অচেনা মানুষজন যখন এমনটা করে, সেটা মনে আঘাত দেয়। কিছুদিন আগেই আমি আমার এক বন্ধুর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট তাঁর প্রশংসা করি,এরপর সেখানে কিছু অচেনা মানুষ আমাকে করোনা বলে উল্লেখ করে। আমি সেটার স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের পেজে শেয়ার করেছিলাম। যদিও তাদের নামগুলো আমি আবছা করেদি, কারণ আমি প্রকাশ্যে কাউকে ছোট করতে চাই না। পরে তারা ক্ষমা চায়।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন করতে কোনও খামতি রাখছেন না মিয়াং। বলিউডের বহু সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে ইয়ে হসলা..