প্রথম থেকেই বিতর্কে সোনাক্ষি সিনহা ও জাহির ইকবালের ভালোবাসার বিয়ে। ভিন ধর্মে বিয়ে করায়, অভিনেত্রীর বাড়ির ভিতরেও যে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা প্রমাণ হয়, যখন সোনাক্ষির ২ ভাই লব ও কুশ অনুপস্থিত থাকেন দিদির বিয়েতে। তবে বর্তমানে ফের আলোচনায় এলেন এই দম্পতি একটি ভিডিয়োর কারণে, আর সেটি হল কুমার বিশ্বাস নামে এক কবির।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে কুমার বিশ্বাসকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের সন্তানদের সীতাজির বোন, ভগবান রামের ভাইদের নাম মনে করিয়ে দিন। আমি একটা ইঙ্গিত দিচ্ছি, যারা বুঝবেন তাদের হাততালি পাওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের রামায়ণ শোনাও, গীতা পাঠ করাও, অন্যথায় এমন হওয়া উচিত নয় যে, তোমার বাড়ির নাম রামায়ণ, কিন্তু অন্য কেউ তোমার ঘরের শ্রী লক্ষ্মীকে কেড়ে নিয়েছে।’
রীতিমতো টক অফ দ্য টাউন ভারতের এক অন্যতম বিখ্যাত কবর মুখের এমন কথা। অনেকেরই দাবি, মুসলিম জাহিরকে ভালোবেসে বিয়ে করায় এহেন আক্রমণ করা হল সিনহা পরিবারকে। কারণ কারওরই অজানা নয় যে, শত্রুঘ্ন পরম আদরে নিজের মুম্বইয়ের বাড়ির নাম রেখেছেন রামায়ণ।
তবে এবার কুমার বিশ্বাসের ভিডিয়ো শেয়ার করে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল বলিউডের পরিচালক দারাব ফারুকিকে। তিনি টুইট করেন, ‘আপকে ঘর কা নাম তো রামায়ণ হো, অর আপকে ঘর কি শ্রী লক্ষ্মী কো কোই অর উথা কর লে যায়…! এই অপমানকর মন্তব্যটি শত্রুঘ্ন সিনহা, তার মেয়ে সোনাক্ষি সিনহা এবং তার স্বামী জহির ইকবালের জন্য। সোনাক্ষি এবং ইকবাল দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, যারা বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ে করেছেন। কিন্তু এই কবির দাবি করার সাহস আছে যে জহির সোনাক্ষীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে বা অপহরণ করেছিল (উথা কর লে যায়ে)।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি সাধারণত পপ সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করা এড়িয়ে চলি। তবে এটি খুব অবিবেচক একটি মন্তব্য সঙ্গে এটি দুষ্টতা। এই লোকটি নিঃসন্দেহে এক সংঘী।’ এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, সাধারণত আরএসএস-এর সমর্থকদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সংঘী কথাটা। শুধু তাই নয়, উগ্র হিন্দুত্ববাদের সমার্থকদেরও ‘সংঘী’ হিসেবে কটাক্ষ করা হয়ে থাকে।
২৩ জুন বিয়ে করেন সোনাক্ষি ও জাহির। এই দিন সকালে নিজের বাড়িতেই রেজিস্ট্রি করেন দুজনে। আর তারপর ওইদিন বিকেলে ছিল পার্টি। যাতে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের নামি তারকারা।