সেটা ছিল ৬০-এর দশক। বলিউড তথা গোটা দেশে সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শোনা যায়, গীতিকার সুরকারদের সমান পারিশ্রমিক দাবি করতে তিনি। সেসময় গায়করা জনপ্রিয় ছিলেন ঠিকই তবে খুব বেশি পারিশ্রমিক পেতেন না। মহম্মদ রফি, মান্না দে-র মতো অভিনেতারা গান প্রতি ৩০০ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন বলে শোনা যায়। তবে কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের সময় থেকে সব বদলে যায়। গানের অ্যালবাম ইউটিউবে স্ট্রিমিং হওয়া শুরুর পর থেকেই গায়কদের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়।
বর্তমানে অবশ্য পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে বড় গায়করা গান প্রতি লক্ষ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন। এখন প্রশ্ন এদেশের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেন কোন গায়ক?
আরও পড়ুন-পরমব্রতর পরিচালনায় 'ভোগ' নিয়ে আসছেন অনির্বাণ, রয়েছে আরও অনেক চমক
নিশ্চয় আপনাদের অনেকেরই মনে অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, সুনিধি চৌহানের নাম ঘুরছে। তবে এরাঁ কেউই নন। ভাবছেন তবে কে?
ইনি হলেন এ আর রহমান। বর্তমানে এদেশে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া গায়ক তিনি। ইন্ডাস্ট্রির অন্দর থেকে পাওয়া নানান সূত্র থেকে জানা যায়, রহমান নিজে গান গাওয়ার জন্য প্রতি গানের জন্য ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নেন। যা এদেশের অন্য যেকোনও গায়কের পারিশ্রমিকের থেকে ১২-১৫ গুণ বেশি। সূত্রের খবর, সুরকাররা যাতে তাঁকে গাইতে না বলেন, সেই কারণেই এই পারিশ্রমিক নেন রহমান। তিনি নাকি নিজের সৃষ্টিতেই মনোনিবেশ করতে চান। সেকারণেই রহমান মূলত নিজের গানই গেয়ে থাকেন। যদি কখনও তিনি অন্য কারোর সুরে গান গাইতে রাজি হয়, তাহলে প্রযোজককে প্রায় ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক গুণতে হয়।
এদেশের সর্বাধিক পারিশ্রমিক নেওয়া গায়ক-গায়িকা
ফুল টাইম গায়কদের মধ্যে শ্রেয়া ঘোষাল এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া গায়িকা। ৪ বছর বয়সী এই গায়িকা রেকর্ডিং-এর জন্য প্রতি গানের ২৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন। শ্রেয়ার পরে অর্থাৎ তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সমসাময়িক গায়িকাদের মধ্যে রয়েছেন সুনিধি চৌহান, যিনি প্রতি গানের ১৮-২০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন। সূত্রের খবর, অরিজিৎ সিংও নাকি একই পরিমাণ পারিশ্রমিক নেন। অন্যদিকে সোনু নিগম নেন ১৫- ১৮ লক্ষ টাকা।
এদিকে তথ্য অনুযায়ী র্যাপার বাদশা এবং গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাঁদের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন বলে জানা যায়। শীঘ্রই শীর্ষ পাঁচে ঢুকে পড়তে পারেন তাঁরাও।