খারাপ আচরণের জন্য ৯ সংবাদকর্মীকে ১৫ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করল ইন্ডিগো এয়ারলাইনস। এই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনা রানাওয়াত ইন্ডিগোর 6E-264 বিমানে চ়ড়ে চণ্ডীগড় থেকে মুম্বই আসবার সময় করোনার জন্য জারি সামাজিক দূরত্ববিধিসহ বিমানের একাধিক নিময় ভাঙে অভিযুক্ত ৯ জন সাংবাদিক। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইন্ডিগোর কোনও বিমানে চড়তে পারবেন না তাঁরা।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সংস্থা গুলির উপর। উড়ানের সময় সেই নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। অথচ যে বিমানে কঙ্গনা চণ্ডীগড় থেকে মুম্বই পৌঁছেছিলেন সেই বিমানে এই নিয়ম মানা হয়নি। এই খবর প্রকাশ্যে আসবার পরেই বিমান সংস্থা ইন্ডিগোকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন।
৯ সেপ্টেম্বর ইন্ডিগো ফ্লাইট, 6E 264 বিমানটি নির্ধারিত সময় দুপুর ১২টায় চণ্ডীগড় থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে টেক অফ করে, এবং দুপুর ২.১৫ মিনিটে মুম্বইয়ের ভূমি স্পর্শ করে।মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ানো কঙ্গনা রানাওয়াত এই বিমানেই মুম্বই আসেন। যার কিছু সময় আগেই বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে অবৈধ কাঠামো তৈরি করা হয়েছে এই অভিযোগ এনে চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় কঙ্গনার অফিস।
বিমানে যদিও কোনও সাংবাদিকের সঙ্গে কোনওরকম কথা বার্তা বলেননি কঙ্গনা রানাওয়াত। এক এয়ারলাইন আধিকারিক সেই সময় জানিয়ে ছি্লেেন, ‘কেবিন ক্রুদের তরফে বারবার সংবাদকর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে। নির্দিষ্ট সিটে বসতে। প্লাইলটের তরফে বিমানের ভিতরে ক্যামেরার ব্যবহার নিষিদ্ধ সেকথা ঘোষণা করা হয়। বিমান চলাকালীন শ্যুট করা যায় না সে কথাও জানানো হয়। তবুও কেউ কর্ণপাত করেনি’।