ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিশত সেনগুপ্তর ১৩ বছরের সাজানো সংসার ভেঙে গিয়েছে, আইনি পথে হেঁটে দুজনে আলাদা না হলেও এক ছাদের তলায় থাকেন না এই তারকা দম্পতি। এ কথা আজ আর লুকানো নয়। জুন মাসেই শুরুতেই ইন্দ্রনীল-বরখার ডিভোর্সের গুঞ্জন সামনে এসেছিল। সেই সময় যদিও এই গুঞ্জনকে নেহাত রটনা বলেই দাবি করেছিলেন দম্পতি। কিন্তু কথায় আছেন না যা রটে তার কিছু তো বটে! সময় যত এগিয়েছে ততই দুজনের সম্পর্কের দূরত্ব প্রকট হয়েছে।
জুলাই মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্দ্রনীলকে আনফলো করে দেন বরখা, অগস্টের শুরুতেই পালটা স্ত্রীকে আনফলো করেন ইন্দ্রনীল। যদিও এখনও ইন্দ্রনীলের ইনস্টাগ্রামের ডিসপ্লে পিকচারে বরখা আর তাঁর প্রেমেমাখা ছবিই রয়েছে। অভিনেতার ইনস্টাগ্রামের দেওয়াল ঘাঁটলেও খোঁজ মিলবে বরখার অসংখ্য ছবির, কিন্তু চলতি বছর মার্চেই শেষবার বরখার ছবি পোস্ট করেছেন ইন্দ্রনীল। তারপর থেকেই আচমকা বরখাহীন ইন্দ্রনীল সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল।
সম্প্রতি বরখার সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ইন্দ্রনীল। এক সাক্ষাত্কারে অভিনেতাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া, কোথাও আমি কোনও দিন আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করিনি'। ইন্দ্রনীল আরও যোগ করেন, ‘তারকাদের জীবন সব সময়েই লোকচক্ষুর সামনে থাকে। তাঁদের কাজ, পারিবারিক জীবন নিয়ে সারাক্ষণ কাটাছেঁড়া চলে। তবে আমি সেই আলোচনায় অংশ নিতে চাইনি, আর চাইবও না। এটা আমার সচেতন সিদ্ধান্ত’।
বরখা-ইন্দ্রনীলের ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন টালমাটাল হওয়ার নেপথ্যের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে টলি অভিনেত্রী ইশা সাহার নাম। আর এই চর্চিত প্রেম কাহিনির শুরুটা মাস ছয়েক আগে। সেইসময় ‘তরুলতার ভূত’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছিলেন ইন্দ্রনীল, বিপীরতে অবশ্যই ইশা সাহা। খবর, শ্যুটিং সেটে দুজনের বন্ধুত্ব নাকি বেশ গাঢ় হয়ে উঠেছিল। যদিও এই খবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ইশা। সোমবারই ‘তরুলতার ভূত’ ছবির প্রমোশ্যানাল ইভেন্টে ইশার দেখা মিললেও উপস্থিত ছিলেন না ইন্দ্রনীল। তাই সব গুঞ্জন যে নেহাত রটনা নয়, তা বলছেন নিন্দুকেরা।
গত মার্চে ১৩তম বিবাহবার্ষিকীতে ইন্দ্রনীলের উদ্দেশে শুভেচ্ছা পোস্ট করেছিলেন বরখা, এরপর আশ্চর্যজনকভাবে বরখার প্রোফাইল ইন্দ্রনীলহীন। যদিও দুজনেই চুটিয়ে ছবি শেয়ার করেছেন তাঁদের নয়নের মণি, একমাত্র সন্তান মাইরা সঙ্গে।