প্রায় তিন বছর ধরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি ইন্দ্রাণী হালদার। ছোটপর্দার ‘শ্রীময়ী’র একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে তাঁর শারীরিক গঠনে আমূল পরিবর্তন সকলকে চমকে দিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়েছে অভিনেত্রীর। সেই নিয়ে অনুরাগীদের অবশ্য পাশে পেয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ তারকা। আরও পড়ুন-৩ বছর ধরে গায়েব, অসম্ভব ‘মুটিয়ে গিয়েছেন’ ইন্দ্রাণী হালদার! কেন শরীরের এই দশা? নিজেই জানালেন শ্রীময়ী
গত কয়েক বছর ধরে শুধু ক্যামেরার মুখোমুখি হননি অভিনেত্রী তা নয়, সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। পুরোনো স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছিলেন কখনও কখনও। এর মাঝেই রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের যন্ত্রণার কথা ভাগ করে নিলেন টলিউডের আদরের মামণিদি। প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা সময়ের সঙ্গে কখনই লাঘব হয় না। বরং সেই যন্ত্রণার ভার অনন্ত।
পাঁচ বছর আগে আজকের দিনেই ভাইকে হারিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার। সেই কষ্টের কথাই এদিন অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। ভাইয়ের সঙ্গে আনন্দেমাখা এক মুহূর্তের স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে তিনি লেখেন, ‘ভাই আজ ৫ বছর হল তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেছিস…. কোথা দিয়ে সময় চলে গেল, কিন্তু আমাদের কষ্ট একটু কমলো না। আমি আর মা রোজ কাঁদি তোর জন্য। যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস ভাই’।
২০১৯ সালের ১০ই নভেম্বর প্রয়াত হন ইন্দ্রাণী হালদারের ভাই ইন্দ্রনীল। মাত্র ৪৫ বছর বয়সেই না-ফেরার দেশে চলে যান তিনি। জোছন দস্তিদারের তেরো পার্বণে ইন্দ্রাণীর রিল লাইফ ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তাঁর বাস্তব জীবনের ভাই, ইন্দ্রনীল।
ভাইফোঁটার আগের দিন মাচা শো-তে হাজির হয়েও ভাই হারানোর যন্ত্রণা ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মাইক হাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল,'আমার তো ভাই নেই, বেশ কয়েক বছর আগে চলে গেছে…ভাইফোঁটার দিন আমার মনটা খারাপ থাকে, কারণ আমার ভাইকে আমি হারিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে আমার অনেক ভাই আছ, তাদের দিকে তাকিয়ে, তাদের কথা ভেবেই….'। দর্শকাসন থেকে এক ভাইকে ডেকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল গানও গেয়ে শুনিয়েছিলেন তিনি।
ছোটপর্দায় তাঁর শেষ ধারাবাহিক শ্রীময়ী। ২১'-এর ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই মেগা সিরিয়াল। এরপর পর্দায় তাঁর একমাত্র উপস্থিতি জি ফাইভের ওয়েব সিরিজ ‘ছোটলোক’, যারও শ্যুটিং হয়েছে ২০২১ সালে। নিজের ওজন বৃদ্ধির কারণও স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী। ইন্দ্রাণী হালদারের কথায়, 'পিঠে ব্যথার কারণে আমি একবছর কোনও অনুষ্ঠান করিনি, বাইরে বেরোনো একদম বারণ করেছিল ডাক্তার, জিম তো দূর, কোনওরকম ব্যায়াম করাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওষুধ খেয়ে এখন আগের থেকে কিছুটা ঠিক আছি। ওষুধের কারণে আমার ওজন আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে ওজন নিয়ে দয়া করে কেউ সমালোচনা করবেন না। আমি খুব ডিপ্রেসড হয়ে যাব তাহলে, আশা করি সকলেই সেটা বুঝবেন। আমিও তো একজন মানুষ।'