ছোটপর্দায় তাঁর শেষ ধারাবাহিক শ্রীময়ী। এরপর পর্দায় তাঁর একমাত্র উপস্থিতি জি ফাইভের ওয়েব সিরিজ ‘ছোটলোক’, যারও শ্যুটিং হয়েছে ২০২১ সালে। ২১'-এর ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় মেগা শ্রীময়ী। এরপর প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত। ছোটপর্দা তো দূরে থাক, ক্যামেরার সামনেই এতদিন দেখা যায়নি অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারকে।
অভিনেত্রীর কোনও সাড়াশব্দ নেই। কোথায় ইন্দ্রাণী হালদার? সেই প্রশ্ন পিছু ধাওয়া করে বেরিয়েছে অনুরাগীদের। ইন্দ্রাণী যে শুধু অভিনয় থেকেই দূরে থেকেছে তা নয়, কোনও সংবাদমাধ্যমও তাঁর নাগাল পায়নি। লক্ষ্মীপুজো হোক বা সরস্বতী পুজো, কিংবা রথযাত্রা, ক্যামেরার সামনে অধরা তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও থেকেছেন অন্তরালে।
ভাইফোঁটার আগের রাতে এক মাচা শো-তে অংশ নেন পঞ্চার্ধো তারকা। সেখানে ইন্দ্রাণী হালদারকে দেখে চেনা দায়! মুটিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। বয়স বাড়লেও ছিপছিপে চেহারা ধরে রেখেছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার, নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বরাবরই সচেতন তিনি। তাহলে হঠাৎ কী হল তাঁর? অভিনেত্রী এমন দশা থেকে শুরুতে ঘাবড়ে যান অনুরাগীরা। শুরুতে অনেকে ভাবেন এডিটিং-এর কারসাজি, আবার কারুর মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি এই কারণেই এতদিন অন্তরালে ছিলেন অভিনেত্রী?
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায় স্পষ্ট হয় ছবিটা। কেন ইন্দ্রাণী হালদারের শারীরিক গঠনের এমন পরিবর্তন হল? গোয়েন্দা গিন্নী নিজেই সেই উত্তর দেন। সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করে তিনি জানান,'পিঠে ব্যথার কারণে আমি একবছর কোনও অনুষ্ঠান করিনি, বাইরে বেরোনো একদম বারণ করেছিল ডাক্তার, জিম তো দূর, কোনওরকম ব্যায়াম করাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওষুধ খেয়ে এখন আগের থেকে কিছুটা ঠিক আছি। ওষুধের কারণে আমার ওজন আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে ওজন নিয়ে দয়া করে কেউ সমালোচনা করবেন না। আমি খুব ডিপ্রেসড হয়ে যাব তাহলে, আশা করি সকলেই সেটা বুঝবেন। আমিও তো একজন মানুষ।'
হ্যাঁ, পিঠের যন্ত্রণায় কাতর ইন্দ্রাণী হালদার এতদিন রীতিমতো বেড রেস্টে ছিলেন। কোনওরকম ব্যায়াম বা শরীরিক কৎরতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অভিনেত্রীর। তাই শ্যুটিং ফ্লোর থেকেও দূরে রয়েছেন।
ফেসবুকের ভাইরাল ভিডিয়োতে ইন্দ্রাণীকে আক্ষেপের সুরে জানাতে দেখা গিয়েছে, বহুদিন আগেই ভাইকে হারিয়েছেন তিনি, তাই ভাইফোঁটা এলেই মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকেই এক ভাইকে ডেকে নিয়ে ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল গানও গাইতে দেখা গেল ইন্দ্রাণী হালদারকে।