'এ্যায় জিন্দেগি তু বস ইতনা মুঝে বাতা, জানে অনজানে মে হুয়ি কেয়া মুঝসে খতা?' ব্যকগ্রাউন্ডে চলছিল এই গানটি, আর আর টুকরো টুকরো কিছু মুহূর্তে ধরা পড়লেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বরখা বিস্ত। যে ভিডিয়োতে কখনও একসঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খেতে, কখনও আবার একসঙ্গে ফ্ল্যাটের বারান্দায় হাসিখুশি ধরা পড়লেন ইন্দ্রনীল-বরখা।
ভিডিয়ো দেখলে মনে হবে, তাঁদের মধ্যে যেন খারাপ কিছুই ঘটেনি। সবকিছুই সুন্দর রয়েছে। ২৪ জুলাই বুধবার, বরখা বিস্তের ইনস্টাগ্রামে উঠে এসেছে এমনই কিছু সুন্দর মুহূর্তের ভিডিয়ো। যা দেখে অনেকেই হয়ত ভাবছেন, তবে কি দূরত্ব, বিচ্ছেদ ভুলে ফের কাছাকাছি আসছেন বরখা-ইন্দ্রনীল? তাঁদের ভেঙে যাওয়া দাম্পত্য ফের নতুন করে সেজে উঠছে?
আজ্ঞে নাহ, এমন কিছুই ঘটেনি। ভিডিয়োটি আসলে সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘চলতি রহি জিন্দেগি’-র ট্রেলার। যে ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করছেন ইন্দ্রনীল-বরখা। এবার প্রশ্ন, তাহলে বিচ্ছেদের পরও একসঙ্গে কাজ করছেন বরখা-ইন্দ্রনীল? নাহ, সেটাও ঘটেনি।
‘চলতি রহি জিন্দেগি’- ছবি প্রসঙ্গেই বরখা জানিয়েছেন, ইন্দ্রনীলের সঙ্গে তাঁর সংসার জোড়া লাগেনি, বা দূরত্বও মেটেনি। তবে যখন তাঁরা এই ছবিতে কাজ করেছিলেন, সেটা ছিল ২০২০ সাল। তখন তাঁদের ছিল সুখী সংসার। দীর্ঘ ১৫ বছরের এই সম্পর্কে চিড় ধরে ২০২১ সালে। শোনা যায়, ২০২১এই ‘তরুলতার ভূত’-এ একসঙ্গে কাজ করার সময়তেই কাছাকাছি আসেন ইশা ও ইন্দ্রনীল।
বরখাকে বলেন, ‘আমরা ২০২০ সালের লকডাউনের সময় এই ছবির শ্যুট করি। তখন আমাদের বিবাহিত জীবন ছিল আনন্দে পরিপূর্ণ। আমাদের কিছু করার ছিল না। সব ঠিক হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। সেই সময় পরিচালক আরতি এস বাগদি এই সিনেমার প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এটা একটা হাউজিং সোসাইটিতে থাকা ৩ মহিলার গল্প। আমার চরিত্র হল এক সিঙ্গেল মাদারের, যার স্বামী তাঁকে ঠকিয়েছে। আর ইন্দ্রনীলের চরিত্রটা হল এই একই বিল্ডিংয়ে থাকা এক পুরুষের, সেও স্ত্রীর থেকে আলাদা।’ বরখা আরও বলেন, ‘এই সিনেমা শেষ হওয়ার পর, ২০২২ সাল নাগাদ আমরা আলাদা হই। তবে এই কাজের অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ ছিল।’
প্রসঙ্গত ইন্দ্রনীল বা বরখা কেউই অবশ্য কখনও সম্পর্ক ভাঙার কারণ নিয়ে কখনও মুখ খোলেনি। তবে টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত-ইশা সাহার প্রেমের গুঞ্জন। ইশাও এনিয়ে কখনও কথা বলেননি।