'৭৫ বছর বয়সে এসে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল চালান, মা, ঠাকুমা ও শাশুড়ির কাছ থেকে শেখা কিছু ট্রাডিশনাল রান্নাই তিনি করেন। আসলে এই রান্নার মধ্যে দিয়েই ইন্দুবালা তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখেন। এটা তাঁর বিস্মৃতির সঙ্গে লড়াই।'
1/8স্মৃতি বুকে নিয়ে দেশ ছাড়ার গল্প বলবেন শুভশ্রী, দেখুন ইন্দুবালা-র নানা বয়সের লুক…
2/8৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সকলের জন্য খুলে যাচ্ছে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'। তবে তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসের ঠিক আগে মুক্তি পেয়েছে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' ওয়েব সিরিজের ট্রেলার।
3/8ইন্দুবালা শুভশ্রীর ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশে, তারপর বিয়ের পর স্বামীর হাত ধরে কলকাতায় চলে আসা, তারপর এপার বাংলাতেই চিরকালের মতো থেকে যাওয়া, আর স্মৃতির পাতা থেকে নিজের অস্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা, ওয়েব সিরিজের ট্রেলারে নানান বয়সের ইন্দুবালা হয়ে ধরা দিয়েছেন শুভশ্রী।
4/8ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায়, উত্তর কলকাতার ইন্দুবালার পুরনো বাড়ির সামনে টাঙানো 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'-এর হোর্ডিং, ঠিকানায় লেখা ১৪ /২ ছেনু মিত্র লেন কলকাতা ৭০০০০৯। বৃদ্ধ বয়সে রান্নার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কলকাতায় ভাতের হোটেল খুলেছেন ইন্দুবালা। ভাঙা রান্নাঘরের ছবি তুলে কী হবে? প্রশ্ন করতেই ঠাকুমাকে ইন্দুবালার নাতনি বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'-গ্রুপের কত মেম্বার তুমি জানো?'
5/8পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের কথায়, ‘৭৫ বছর বয়সে এসে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল চালান, মা, ঠাকুমা ও শাশুড়ির কাছ থেকে শেখা কিছু ট্রাডিশনাল রান্নাই তিনি করেন। আসলে এই রান্নার মধ্যে দিয়েই ইন্দুবালা তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখেন। এটা তাঁর বিস্মৃতির বিরুদ্ধে লড়াই।'
6/8পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘৬-এর দশকে ইন্দুবালা বিয়ে করে এসেশে আসেন, তারপর আর তাঁর বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া হয়নি। এরপর অসুখী দাম্পত্য, বাচ্চাদের নিয়ে স্ট্রাগল, ছোটবেলার প্রেম, আগের জীবন সবই তাঁর রান্নায় ধরা পড়ে। আসলে এখানে টেস্ট ইন মেমরি। বর্তমানে ইন্দুবালা একজন সফল মহিলা। তারপরেও তিনি সকলের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন।’
7/8ট্রেলারে দেখা যায়, 'বাংলাদেশ থেকে আসা তাঁর আত্মীয় ইন্দুবালাকে বলেন, কলাপোতার মেয়ে ইন্দুবালা, এখন কলকাতার ভাষা কেমন করে শিখে গেল, এখন কি ইছা মাছকে চিংড়ি বলিস নাকি? দেখা গেল কলকাতায় এসে বংলাদেশের মতো করে বাংলা বললে তাঁকে শাশুড়ির কাছে শুনতে হয় ‘এই রিফিউজি ভাষা বন্ধ করো তো।’
8/8ট্রেলারে দেখা গিয়েছে, কলকাতায় এলেও বাংলাদেশকেই তাঁর নিজের দেশ বলে বিশ্বাস করে এসেছেন। ‘দেশে ফেরা আর হবে না’ বলে পাসপোর্ট পুড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে ইন্দুবালাকে। ১৯৭০-এর নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে ইন্দুবালার জড়িয়ে যাওয়া। এভাবেই অতীত ও বর্তমানে মিলে মিশে গিয়েছে ইন্দুবালার জীবনের গল্প, তাঁর ভাতের হোটেলের গল্প।