জল্পনা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। বৃহস্পতিবার সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। থিয়েটারে নয় সরাসরি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে অমিতাভ বচ্চন-আয়ুষ্মান খুরানা জুটির ‘গুলাবো সিতাবো’। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই নতুন বিতর্ক শুরু দেশজুড়ে। পরিচালক সুজিত সরকারের এই ছবি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে মুক্তি পেতে চলেছে ১২ জুন। ঘোষণার চব্বিশ ঘন্টার পার হতে না হতেই সামনে এসেছে আরও এক ঘোষণা, বিদ্যা বালান অভিনীত ‘শকুন্তলা দেবী’-ও সরাসরি মুক্তি পাবে এই আমাজন প্রাইমে। যদিও দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি।
লকডাউন শুরুর আগে থেকেই দেশজুড়ে তালাবন্ধ থিয়েটার। এই পরিস্থিতিতে থিয়েটারের মুক্তি এড়িয়ে সরাসরি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তির রাস্তা অনেক প্রযোজক সংস্থাই বেছে নিচ্ছে। এই নিয়ে সুর চড়াল আইনক্স, পিভিআরের মতো মাল্টিপ্লেক্স চেন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার আইনক্স কর্তৃপক্ষের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে বিষয়টিকে গভীর চিন্তাজনক এবং বিপজ্জনক বলে ব্যাখা করেছে। গুলাবো সিতাবোর নাম উল্লেখ না করেই তাঁরা বলেছেন, ‘সিনেমা হল খোলার অপেক্ষা না করে এক প্রযোজক সংস্থা তড়িঘড়ি তাঁদের ছবি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রিলিজের ঘোষণা করায় আমরা হতাশ। বিশ্বব্যাপী ছবির প্রচার করতে গিয়ে যেভাবে সিনেমা হলগুলিকে বাদ দেওয়া হল তা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
আইনক্সের তরফে জারি সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ও ছবি তৈরির নেপথ্যের কারিগরদের মধ্যে একটা পারস্পরিক বোঝাপড়ার সম্পর্ক রয়েছে। যার জেরে উভয়পক্ষই উপকৃত হয়। কিন্তু আজ বিপদের দিনে আজ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবার সময়ে কেউ কেউ সেই সম্পর্ক থেকে সরে যাচ্ছে।’
এই মাল্টিপ্লেক্স চেন আরও জানায়, তারা বাধ্য হয়েই এবার নিজেদের জন্য ‘বিকল্প উপায়’ খুঁজতে বাধ্য হবে। যাঁরা সম্পর্ক ভেঙে অন্যপথ বেছে নিচ্ছে তাঁদের প্রয়োজনের বন্ধু নয় বলে উল্লেখ করে জানানো হয়, 'উপযুক্ত শাস্তিমূলক আইনি ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেন পিভিআর পিকচার্সের সিইও কমল গিয়ানচন্দানি বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত হতাশ গুলাবো সিতাবো সরাসরি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুক্তির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে, আমরা আশা করছি প্রযোজকরা আমাদের অনুরোধ মেনে অপেক্ষা করবেন ছবি মুক্তির জন্য, যতদিন পর্যন্ত সিনেমাহল পুনরায় না খোলে।’
শোনা যাচ্ছে, অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘লক্ষ্মী বম্ব’, রাজকুমার রাও-এর ‘লুডো’, জাহ্নবী কাপুর অভিনীত বায়োপিক ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’-সহ আরও বেশ কিছু ছবি নাকি সরাসরি ওয়েব প্ল্যাটফর্মেই মুক্তি পেতে চলেছে। এখন দেখবার বলিউড ছবির এই ডিজিটাল রেভোলিউশন নিয়ে পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেবেন হল মালিক ও মাল্টিপ্লেক্স চেনগুলি।