কেউ নাকি আশা পারেখের সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারছেন না। তিনি নাকি শহর ছেড়ে অনেক দূরে, একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছেন! ব্যাপার কী? আসলে তিনি নিরিবিলিতে বন্ধুদের সঙ্গে খোশমেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন। আর কারা তাঁর সেই বন্ধু জানেন? তাঁরা হেলেন এবং ওয়াহিদা রহমান।
বয়স আসলে সংখ্যা মাত্র, আর আবারও সে কথাই প্রমান করে দিলেন আশা, হেলেন, ওয়াহিদারা। ষাট থেকে আশির দশক পর্যন্ত বলিউডে রীতিমতো দাপট চালিয়েছেন এই তিন অভিনেত্রী। সারা জীবনই তাঁরা নিজেদের মর্জির মালিক। আর চুলে পাক ধরার পরও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই যখন যেখানে মনে হয় বেরিয়ে পড়েন তিন বন্ধু মিলে। বয়সজনিত শারীরিক সমস্যা থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের অসুবিধাকে পিছনে ফেলে তাঁরা চলে যান যত্রতত্রসর্বত্র।
আরও পড়ুন: ‘এটা খুব মিষ্টি…’ এপি ধিলোনের সঙ্গে প্রেম করার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বনিতা
এর আগেও তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন মলদ্বীপে। আর এবার ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরে! সেখান থেকে নিজেদের ছবিও স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন আশা। কিছু দিন আগে তাঁর পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায় তিন বন্ধু এক বাগানে বসে খাবার উপভোগ করছেন। সেই ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লেখেন, 'শ্রীনগরে আমার প্রিয় বন্ধু হেলেনজি ও ওয়াহিদাজির সঙ্গে।' আর তাঁদের এই ছবি দেখে বলি পাড়ার আর এক ডিভা রবিনা ট্যান্ডন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, 'কী সুন্দর!'
আবার অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, অ্যাডভেঞ্চারের আশায় ভূস্বর্গে হাউজবোটেই রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। সেখান থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন আশা। সেখানে দেখা গিয়েছে রাজকীয় হাউজবোটে তিন নায়িকা। তাঁদের পরনে একেবারে আধুনিক পোশাক। পাশ্চাত্য পোশাকের উপরে জড়িয়ে নিয়েছেন গরম পোশাক। তাঁদের মাথার উপর ঝুলছে ঝাড়বাতি, পায়ের নীচে কাশ্মীরি গালিচা। সঙ্গে বিলাসবহুল সোফাসেট, ঘরের দেওয়ালে কাঠের সূক্ষ্ম জাফরিকাটা। সব মিলিয়ে একবারে রাজকীয় ব্যাপার। ছবিটি শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন 'শ্রীনগরে হাউসবোটের মজা উপভোগ করছি'।
আরও পড়ুন: শুধু সোনাক্ষী নন, তাঁর হবু বরও বি-টাউনে পা রাখেন সলমনের হাত ধরে! জানেন কীভাবে? দেখে নিন
আশা পারেখ, ওয়াহিদা রেহমান এবং হেলেন সত্যিই বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার গোল সেট করেছেন। ওয়াহিদা রেহমানকে ২০২১ সালে যখন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন আশা পারেখ তাঁর উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেননি। অভিনেত্রী তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এনডিটিভিকে বলেন, 'আমি রোমাঞ্চিত ছিলাম। ওয়াহিদা খুব ভালো একজন মানুষ পাশাপাশি সুন্দরী অভিনেত্রীও বটে। আর তিনি সুন্দর কারণ, তিনি একজন ভাল মানুষ এবং সেটা ওঁর চেহারায় দেখা যায়। আমি ওঁর জন্য খুব খুশি।'
'রং দে বাসন্তী' এবং 'দিল্লি ৬'- এর মতো সিনেমা দিয়ে ওয়াহিদা রেহমানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, আশা পারেখ বলেন, 'তিনি সারাজীবনে কিছু দুর্দান্ত ছবিতে কাজ করেছেন। যে সিনেমাতেই ওয়াহিদা কাজ করেছেন, সেখানেই নিজের চিহ্ন রেখেছে গিয়েছেন।'
ঘটনাচক্রে ওয়াহিদা রেহমান যে বছর এই পুরস্কার পান তার ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে আশা পারেখও দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিনেল। তাঁর জয়ের খুশিও তিনি হেলেন এবং ওয়াহিদা রেহমানের সঙ্গেই উদযাপন করেছিলেন।