দুই বাংলার দুই জনপ্রিয় শিল্পী একজন বাংলাদেশের শিল্পী ফারজানা সিফাত, অন্যজন কলকাতা শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। তাঁরা হাজির হয়েছেন তাঁদের নতুন গান নিয়ে। মূলত একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও একটি নজরুলগীতির মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে এই গান। ইমন চক্রবর্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত 'মন কি দ্বিধা' গেয়েছেন, অন্যদিকে 'সে চলে গেছে' নজরুলগীতিটি চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করেছেন ফারজানা সিফাত। তাঁদের এই গান 'সারেগামা বাংলা'-এর চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে।
ফারজানা সিফাত তাঁর সঙ্গীত জীবন নিয়ে বলেন, 'আমার গানের যাত্রা শুরু হয়েছিল খুব অল্প বয়সে। আমি ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে একজন পেশাদার শিল্পী হিসেবে নিজের কাজ শুরু করি। পাশাপাশি আমার একটি সঙ্গীত সংস্থা রয়েছে। যার নাম 'শরথী আর্টস'। আমি মূলত হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, নজরুলগীতি নিয়ে চর্চা করি। একজন শিল্পী এবং একজন শিক্ষক হিসাবে আমি ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে ইউকে পাবলিক মিউজিক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করি। যুক্তরাজ্যের একজন সঙ্গীত শিক্ষক হিসাবে, আমার মূল ধারণা হল সুর এবং স্বরলিপি অক্ষুণ্ণ রেখে সমসাময়িক যন্ত্র ব্যবহার করে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের গানের বিশাল সুর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া। তাঁদের মধ্যে এই গানগুলির প্রতি একটা আকর্ষণ তৈরি করা। আমি ইতিমধ্যে সেই ভাবে বেশ কয়েকটি নজরুলের গানে কাজ করেছি, যা ব্যাপকভাবে প্রশংসিতও হয়েছে। ফলে আমার এই কাজ করারা উৎসাহ আরও দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।'
তাঁদের নতুন মিউজিক ভিডিয়ো সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফারজানা বলেন, ‘এই কাজটি নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম তখন আমি একটি এমন দুটি গান বেছে নিতে চেয়েছিলাম যাদের অন্তর্নিহিত বার্তা একই। এই দুটো গানের মধ্যেই দুঃখ এবং প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা রয়েছে। দুই গানের শব্দ, আবেগের অনন্য মিশ্রন, দুর্দান্ত সুর সবটাই আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। আমি একটা বিষয় খুব গভীর ভাবে বিশ্বাস করি, যদি সুর-তাল ঠিক রেখে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়, বা নতুন করে গানটার মিউজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয় তবে তার মূল ভাবে তো পরিবর্তন আসেই না, পাশাপাশি শুনতেও বেশ ভালো লাগে।’
আরও পড়ুন: রচনার প্রশংসাতেই হল বাজিমাত! জামাই ষষ্ঠীতে হিট হুগলির দই
তিনি আরও বলেন, ‘দুই সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের এই মেলবন্ধন তৈরি করতে এবং এর অংশ হতে পারাটা আমাকে অপার আনন্দ দেয়। সহযোগিতা বিভিন্ন শৈল্পিক অভিব্যক্তির ঐক্য এবং সহাবস্থানের প্রতীক। যা ব্যক্তিগত পার্থক্যকে অতিক্রম করে, তাছাড়াও সম্প্রদায়ের অনুভূতি ও সংস্কৃতির আদান-প্রদান হয়। এটি আমাকে একজন শিল্পী হিসাবে পরিপূর্ণতা দেয়।’