আমির কন্যা ইরা। চিরকালই আর পাঁচজন তারকা সন্তানের থেকে একেবারেই আলাদাভাবে জীবন দেখেছেন তিনি। আমির খানের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও লাইমলাইট থেকে সব সময় দূরে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি। তবে একবার মানসিক অবসাদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলতে দেখা যায় ইরাকে। এছাড়াও ইরা এবং নূপুরের বিয়ের খবর যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, তখন কিছুটা চর্চায় এসেছিলেন তিনি। এবার বিয়ের এক বছর পর ফের ভাইরাল হল ইরা এবং নূপুরের একটি অনবদ্য ভিডিয়ো।
২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি। ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল ইরা এবং নূপুরের। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন আমিরের দুই প্রাক্তন স্ত্রীও। নূপুর একজন ফিটনেস ট্রেনার। বিভিন্ন তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।জিমেই প্রথম আলাপ হয়েছিল দুজনের। তারপর বন্ধুত্ব, প্রেম এবং শেষে বিয়ে।
আরও পড়ুন: ১২ কোটির দোরগোড়ায় খাদান! ১৫ দিনের পর কী অবস্থা সন্তান, চালচিত্র, ৫ নং স্বপ্নময় লেনের?
আরও পড়ুন: 'একেন'-এর জীবনের বড় রহস্য 'খুকু', সে আসলে কে? পুরী অভিযানে কি তার দেখা মিলবে? মুখ খুললেন অনির্বাণ
২০২৩ থেকে ২০২৪, এই এক বছর বেশ সুখেই সংসার করেছেন দুজনেই। এক বছরের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন নূপুর। বাড়িতেই সাদামাটা ভাবে কীভাবে স্ত্রীকে নিয়ে স্পেশাল দিনটি তিনি উদযাপন করলেন সেটাই তিনি দেখিয়েছেন সকলকে। তবে এই সাধারণের মধ্যেই যে লুকিয়ে ছিল একটি অসাধারণ ব্যাপার, তা আপনি ভিডিয়ো দেখলেই বুঝতে পারবেন।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, স্ত্রীকে একটি শাল পরিয়ে দিচ্ছেন নূপুর। হাতে দিচ্ছেন একটি নারকেল এবং ফুল। গোটা ব্যাপারটি বেশ মজার সঙ্গে উপভোগ করছেন ইরা। যদিও হাসির চেপে রীতিমতো রামগরুড়ের ছানা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে। গোটা বিষয়টি যে নেহাত মজার ছলেই বানানো হয়েছে, তা দুজনকে দেখলেই বোঝা যাবে।
ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশনে নূপুর লেখেন, আমার স্ত্রী ইরা খানকে শাল, ফুলের তোড়া এবং নারকেল দিয়ে সম্মান জানাচ্ছি। আমাকে বিয়ে করার সাহস দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। আমাদের বিয়ের এক বছর সফলভাবে পূর্ণ হয়েছে। বিবাহবার্ষিকীর দিন ইরা পরেছিলেন একটি কালো রঙের প্যান্ট এবং চিকনকারি কুর্তা। নূপুর পরেছিলেন একটি নীল রঙের জিন্স এবং কালো রঙের শার্ট।
আরও পড়ুন: গোবিন্দাকে বিয়ে করার কথা ভেবেছিলেন রবিনা! জবাবে সুনীতা বললেন...
আরও পড়ুন: চিকনি চামেলির সুরে বোনের বিয়েতে ঝড় তুললেন পাক-অভিনেত্রী! নিমেষে ভাইরাল হানিয়ার ভিডিয়ো
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আমির খান জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে সপ্তাহে একদিন করে মনবিশেষজ্ঞের কাছে যান। প্রথম দিকে তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু টানা কয়েক মাস যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন এই সেশন কতটা জরুরি ছিল। মেয়ের সঙ্গে এখন আমিরের সম্পর্ক অনেকটাই ভালো।