'যদি ও বেঁচে থাকতো তাহলে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন বাবার ভূমিকা পালন করতে পারতো ' , কন্যা দিবসে প্রয়াত স্বামী তথা অভিনেতা ইরফান খান সম্পর্কে এমন মন্তব্যই শেয়ার করলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা সিকদার । নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আক্ষেপের সুরে তিনি জানান কন্যা একটি সন্তানের বাবা হওয়ার জন্য কতটা মরিয়া ছিলেন ইরফান ।
নিজের পোস্টে সুতপা লিখেছেন , যেদিন তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় , সেদিন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসক পর্যন্ত অত্যন্ত নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন । উল্লেখ্য দ্বিতীয়বারও পুত্র সন্তানের জননী হন সুতপা । কিন্তু দম্পতি কন্যা সন্তান লাভ করতে এতটাই ব্যগ্র ছিলেন যে প্রথমে চিকিৎসকও সুখবরটি জানাতে কিছুটা ইতস্তত করেন । সন্তানের লিঙ্গ উল্লেখ না করে সদ্য মা হওয়া সুতপাকে জানিয়েছিলেন , ‘অভিনন্দন , সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন’। পরে পুরো বিষয়টা জানতে পেরে খানিকটা হতাশই হয়েছিলেন দম্পতি ' । তবে আক্ষেপের সুরে সুতপা জানান এ যেন এক শিশু কন্যার দুর্ভাগ্য যে সে ইরফান এবং আমার মতো মা বাবাকে পেল না । আজকের ভারতে দাঁড়িয়েও বলতে দ্বিধা নেই শুধু মেয়েদের স্বাধীনতাটুকু দেওয়াটাই যথেষ্ট নয় ।
শিশুকন্যাদের নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেন সুতপা । জানান স্বাধীনতা মানে কখনোই শুধুমাত্র দাবিতে সোচ্চার হওয়া বা নিজের দাবি পূরণ করতে অপরের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা নয় । আজকের ভারতে স্বাধীনতার অর্থ তার ব্যাপ্তি অনেক বড় , সুবিশাল । আমাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এমন কিছু করতে হবে যাতে প্রকৃতই তা ভারত বর্ষের উন্নতি কল্পে সাধিত হতে পারে । এই প্রসঙ্গে সঙ্গীত শিল্পী সাহানা বাজপেয়ীর গানের উল্লেখও করেন ইরফান পত্নী ।
নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার নিয়ে দুই বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে গত ২৯ এপ্রিল প্রয়াত হন ইরফান খান । স্ত্রী সুতপা এবং তাঁদের দুই ছেলে বাবিল ও আয়ানকে রেখে গেছেন তিনি ।
সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুতপা জানিয়েছেন ,ইরফান স্বামীর থেকেও ছিলেন একজন খুব কাছের বন্ধু । তথাকথিত ম্যাটেরিয়ালিস্টিক বিষয় যেমন কোনও বিশেষ দিন পালন , লাল গোলাপ বা চকলেট দেওয়া ভ্যালেন্টাইন্স ডে সেলেব্রেশন , এগুলোর কোনোটাই খাপ খেতোনা সহজ সরল মানুষটির সাথে ।