তাহলে কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়? মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সেই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। গুঞ্জনের আঁচ থেকে বাদ যায়নি টলিউডও। তবে যাবতীয় প্রশ্ন-জল্পনায় ইতি টানলেন স্বয়ং প্রসেনজিৎ। স্পষ্ট জানালেন, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না টলিউডের ‘ফার্স্ট ম্যান’। রাজনীতিতেও আসছেন না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিনেতার বাড়িতে যান বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। দু'জনের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে নিজের লেখা বই ‘অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি’ উপহার দেন। ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ দেন দু'জনে। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। সরাসরি না বললেও সেই আরও ঘি ঢালেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রুদ্রনীল ঘোষ। যদিও বরাবর টলিউডের ‘বুম্বাদা’ জানিয়ে এসেছেন, তিনি রাজনীতিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক নন। তা সত্ত্বেও টলিউডের একাংশের মধ্যে যেভাবে দলবদলের হিড়িক পড়েছে, তাতে প্রসেনজিতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন চলতে থাকে।
সেই পরিস্থিতিতে যাবতীয় জল্পনায় ইতি টেনে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন প্রসেনজিৎ।আনন্দবাজার ডিজিটালের কলামে জানিয়ে দেন, সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য দেখা করেছেন অনির্বাণ। রাজনীতির আঙিনায় পা রাখছেন না তিনি। বিজেপির নেতার আগমন প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘উনি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। পরিচয়ের পরিসর বাড়াতে এসেছিলেন। উনি কিন্তু আমায় কিনতে আসেননি। আমার থেকে কিছু চাইতেও আসেননি। সকলেই চাওয়া-পাওয়ার জন্য আসে না।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ‘ফাটল’ ধরেছে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল, তাও উড়িয়ে দিয়েছেন প্রসেনজিৎ।
পাশাপাশি যেভাবে জল্পনা ছড়িয়েছে, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন ‘বুম্বাদা’। তিনি জানান, রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যতীতে সকলের জন্যই তাঁর বাড়ির দরজা খোলা আছে। বর্ষীয়ান অভিনেতা জানিয়েছেন, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বাংলার সিনেমা বাঁচানোর জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যকে একসঙ্গে কাজের অনুরোধ করছেন। দুই সরকার হাত মিলিয়ে না চললে সেই কাজটা সম্ভবও নয় বলে জানিয়েছেন। তাঁর আক্ষেপ, কেউ এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন না।