বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Ajmer 92 Film: ১০০ মেয়েকে গণধর্ষণ নিয়ে তৈরি ফিল্ম 'Ajmer 92' ব্যান করা হোক, দাবি মুসলিম সংগঠনের

Ajmer 92 Film: ১০০ মেয়েকে গণধর্ষণ নিয়ে তৈরি ফিল্ম 'Ajmer 92' ব্যান করা হোক, দাবি মুসলিম সংগঠনের

‘আজমেঢ় ৯২’ সিনেমা ব্যান করার দাবি উঠল। (ছবি সৌজন্যে টুইটার)

১৯৯২ সালে আজমেঢ়ে কী হয়েছিল? একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে রাজস্থান একটি গ্যাং সক্রিয় হয়েছিল। যারা স্কুলছাত্রী, কলেজ ছাত্রী ও তরুণীদের ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করত। সেটার উপরই সিনেমা তৈরি করা হয়েছে।

বলিউড সিনেমা 'আজমেঢ় ৯২'-কে (১৪ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে) নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তুলল জামিয়াত উলমা-ই-হিন্দ। ওই মুসলিম সংগঠনের সভাপতি মৌলানা মেহমুদ মদনি দাবি করেছেন, ওই সিনেমার ফলে সমাজে 'বিভেদ এবং ফাটল' তৈরি হবে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ওই সিনেমা নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জামিয়াতের সভাপতি। যে সিনেমা ১৯৯২ সালে আজমেঢ়ে পৈশাচিক গণধর্ষণকাণ্ডের উপর তৈরি হয়েছে (তেমনটাই দাবি)। সেইসঙ্গে তাঁর আর্জি, 'সম্প্রদায়ের নিরিখে যাঁরা সমাজে বিভেদ তৈরি করছেন, তাঁদের যাতে দমিয়ে দেয়' কেন্দ্রীয় সরকার।

মাদানি দাবি করেন, হিন্দু এবং মুসলিম ঐক্যের প্রতীক এবং 'প্রকৃত সুলতান' হলেন খোয়াজা মইনুদ্দিন চিস্তি আজমেঢ়ি। যিনি লাখ-লাখ মানুষের হৃদয়ে রাজত্ব করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময় সমাজকে বিভক্ত করতে যেভাবে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে, তা একেবারেই বাঞ্চনীয় নয়। সিনেমা এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের সঙ্গে যাবতীয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু ১৯৯২ সালে আজমেঢ়ে কী হয়েছিল? একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে রাজস্থান একটি গ্যাং সক্রিয় হয়েছিল। যারা স্কুলছাত্রী, কলেজ ছাত্রী ও তরুণীদের ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করত। ছবি তুলে রেখে ব্ল্যাকমেল করা হত। একটি ফোটো কালার ল্যাবে সেই ছবি প্রিন্ট করা হত এবং সেই ছবি ছড়িয়ে দিত ওই গ্যাং। সেই ছবি দেখিয়ে নির্যাতিতাকে লাগাতার গণধর্ষণ করা হত। শুধু তাই নয়, নির্যাতিত তরুণীদের বান্ধবীদেরও ফার্মহাউসে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: 'গুন্ডাদের সঙ্গে লড়াই করা শক্ত'-হল না পেয়ে কার্যত হাল ছাড়লেন দ্য কেরালা স্টোরির প্রযোজক

দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পৈশাচিক ঘটনায় কুখ্যাত ফারুক চিস্তি এবং নাফিস চিস্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। যাদের সঙ্গে আজমেঢ় শরিফ দরগার কোনও যোগ ছিল বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল। আরও কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পরবর্তীতে ওই পৈশাচিক ঘটনা সামনে আসে, তখন আজমেঢ়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল।

আরও পড়ুন: 72 Hoorain: ‘জিহাদের পথে এলে ৭২ জন কুমারী শুধুই তোমার’, ‘৭২ হুরেঁ’-র ফার্স্ট লুক টিজারে নতুন বিতর্কের গন্ধ!

'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ঘটনার সময় রাজস্থান পুলিশে উপ-মহানির্দেশক ছিলেন আমেন্দ্র ভরদ্বাজ। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা সামাজিক এবং আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল। তাই নির্যাতিতারা প্রকাশ্যে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন।’

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন