বলিউডের সবচেয়ে ঠোঁটকাটা ব্যক্তিত্ব কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্যিই অনন্য ‘কুইন’। ২০২০ সালে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন ‘মনিকর্ণিকা’ অভিনেত্রী। সেইসময় মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার সঙ্গেও বাকযুদ্ধে জড়ান কঙ্গনা। ফলস্বরূপ হিমাচল সরকারের অনুরোধ মেনে কেন্দ্রের তরফে Y+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে। শিবসেনার সঙ্গে জারি চাপানউতোরের মাঝেই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একদিনের নোটিশে কঙ্গনার পালি হিলসের অফিস-বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC)। জানা যায়, বাড়ির ৪০% অংশই ভেঙে দিয়েছিল শিবসেনার নেতৃত্বাধীন বিএমসি।
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে কঙ্গনার অফিস ভেঙেছিল বিএমসি। সেক্ষেত্রে আদালতের রায় মেনে চলেনি মুম্বই পুরসভা। সেই নিয়ে শিবসেনার সঙ্গে ফের নতুন বিতর্কে জড়ান কঙ্গনা। পরে বিএমসির কাছে ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কঙ্গনা। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে দু-বছরেরও বেশি সময়। পালাবদল হয়েছে মহারাষ্ট্রের মসনদে। উদ্ধব ঠাকরে গদিচ্যুত হয়েছে, ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ কঙ্গনা সদ্যই সাক্ষাৎ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে। এবিপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কোনওরকম ক্ষতিপূরণ পাইনি। কথা ছিল বিএমসির তরফে আমার ক্ষতির যথাযথ মূল্যায়ণ করা হবে। আমি শিন্ডেজির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, বলি- আপনারাই আমার ক্ষতির কিছু মূল্য নির্ধারণ করে দিন। আমি কোনও টাকা-পয়সা চাই না। করদাতাদের টাকার অপব্যবহার যাতে কেউ না করে সেটাই চাই। আমার আর ক্ষতিপূরণের দরকার নেই, ঠিক আছে’।
কঙ্গনা যোগ করেন, ‘আদালতের তরফে বিএমসি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আমার ক্ষতির সঠিক মূল্যায়ণ করে টাকা ফিরত দেওয়ার। কিন্তু ওরা কোনও লোক পাঠায়নি আজ অবধি, আমিও সেই নিয়ে আর কথা বাড়ায়নি। কারণ আমার জনতার ট্যাক্সের টাকার দরকার নেই’।
আপতত ‘চন্দ্রমুখী ২’ নিয়ে ব্যস্ত কঙ্গনা। পি ভাসুর এই ছবি তামিল হরর কমেডি ‘চন্দ্রমুখী’র সিকুয়েল। যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রজনীকান্ত এবং জ্য়োতিকা। চন্দ্রমুখী-তে রাজসভার দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসাবে দেখা যাবে কঙ্গনাকে।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই নিজের প্রযোজনা সংস্থা মনিকর্ণিকা ফিল্মসের ব্যানারে তৈরি ‘এমার্জেন্সি’র শ্যুটিং শেষ করেছেন কঙ্গনা। এই পিরিয়ড ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। এই ছবির পরিচালকের আসনেও রয়েছেন কঙ্গনা। ছবিতে কঙ্গনা ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমন, শ্রেয়স তালপেড়ে এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক।