দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। উমার বাপের বাড়ি আসবার জেরে টেলিপাড়াতেও এখন তুমুল ব্যস্ততা। এপিসোডের ব্যাঙ্কিং সারতে হবে বলে কথা! দু-দণ্ডও আরাম করবার জো নেই কারুর। দুর্গাপুজোর সময় শ্যুটিং-এর চাপের পাশাপাশি তারকাদের আরও একটা ব্যস্ততা থাকে। পুজোর ঠিক আগে আগে পুজো-মণ্ডপের ফিতে কাটবার পর্ব। এর জন্য প্রত্যেকেই মোটা দরও হাঁকেন।
পাড়ার পুজোয় কে কত বড় সেলেব আনছে, সেই নিয়ে ক্লাবগুলোর মধ্যে একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা হামেশাই হয়ে থাকে। একথা বলবার অপেক্ষা রাখে না টেলি তারকাদের মধ্যে পুজোর উদ্বোধনে সবচেয়ে বেশি ডিম্যান্ড মিঠাইরানির। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব নায়িকা সৌমিতৃষা। সকল উদ্যোক্তারাই চান অভিনেত্রীকে দিয়ে পুজো মণ্ডপের ফিতে কাটাতে। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের তরফে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় টেলি তারকারা পুজোর উদ্বোধনে আনুমানিক কত পারিশ্রমিক নেন সেই তালিকা।
সেখানে একদম উপরের দিকেই জ্বলজ্বল করছে সৌমিতৃষার নাম। সেখানে দাবি করা হয় পুজো মণ্ডপ পিছু পঁচাশি (৮৫,০০০) হাজার টাকা দর হাঁকেন সৌমিতৃষা। তালিকায় শন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মন ফাগুনের ঋষি সেনের ঠিক পরেই আছেন মিঠাই। দাবি করা হয়েছে, শন পারিশ্রমিক বাবদ এক লক্ষ টাকা নেন। এই লিস্ট দেখে তো চোখ ছানাবড়া অনুরাগীদের। সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় মিঠাইরানিকেই প্রশ্ন করে বসে এক ভক্ত।
এ কথা কারুর অজানা নয়, সোশ্যাল মিডিয়া কতখানি অ্যাক্টিভ সৌমিতৃষা। ওই পোস্ট নজরে আশা মাত্রই অনুরাগীর প্রশ্নের জবাব দেন অভিনেত্রী।
সৌমিতৃষা ওই পোস্টের স্ক্রিনশট ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে লেখেন, ‘আমি কোনওদিন নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কারুর সঙ্গে আলোচনা করিনি। এটা সম্পূর্ণ রূপে ভুল তথ্য’।
অন্যদিকে এই তালিকায় নাম রয়েছে ‘পিলু’র আহির অর্থাৎ অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরীরও। এই খবর সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফাই দিয়ে অভিনেতা জানান, গত ১০ বছর দুর্গাপুজোর কোনও অনুষ্ঠানেই যোগ দেননি তিনি। এই খবর সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই।